সামনেই উপনির্বাচন। একদিকে শুভেন্দু ও সুকান্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি বসানোর নাম করে কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘অভয়ার জন্য বিচার নাকি তৃণমূলের জন্য কাটমানি? সঙ্কটজনক পরিস্থিতিকে টাকা কামানোর সুযোগে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের প্রশংসা প্রাপ্য। ‘ তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি বসানো নিয়ে রাজ্য সরকার ও তার আইনজীবীরা অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। অবশেষে রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর জন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। এরপর তিনি আরও দাবি করেন, হাসপাতালগুলিতে যত সংখ্যক সিসিটিভি লাগানো হবে তার থেকে অনেক বেশি টাকা তোলা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি দুটি মেডিক্যাল কলেজের তথ্য সামনে এনেছেন। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে ১৯৫টি সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। এর জন্য খরচ হচ্ছে ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯২৩ টাকা। অর্থাৎ ইউনিট প্রতি খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। অপরদিকে, আরামবাগ প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। এর জন্য ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৩৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ, ইউনিট প্রতি খরচ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৭৪ টাকা। অর্থাৎ দুটি হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর ক্ষেত্রে ইউনিট প্রতি খরচ ভিন্ন।
Advertisement
উল্লেখ্য, এই ঘটনাকে তিনি আশ্চর্যজনক, অবিশ্বাস্য ও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, ‘সকলেই জানেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু এই কাজ করে তাঁরা সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন।’
Advertisement
Advertisement



