• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিধান-স্মরণে এই প্রথম আমন্ত্রিত বামেরা

এবারই প্রথম বিধানচন্দ্র রায়ের স্মরণমঞ্চে বামফ্রন্ট নেতাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর আগে এমন ঘটনা বিধান-স্মরণ অনুষ্ঠান বিধান ভবনে কখনও হয়নি।

বিধান-স্মরণে এই প্রথম আমন্ত্রিত বামেরা (File Photo: IANS)

প্রতিবারের মতোই এবারে বিধানচন্দ্র রায়’এর জন্ম-মৃত্যুদিন উদযাপন করছে প্রদেশ কংগ্রেস। এই কর্মসূচির মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই, ধারাবাহিকভাবেই গত কয়েক বছর ধরে তা হয়ে আসছে। কিন্তু এবারই প্রথম বিধানচন্দ্র রায়’এর স্মরণমঞ্চে বামফ্রন্ট নেতাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর আগে এমন ঘটনা বিধান-স্মরণ অনুষ্ঠান বিধান ভবনে কখনও হয়নি।

বিধান রায়ের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী বামফ্রন্টের রাজনৈতিক পথ চলা শুরু হয়েছিল। আজ, বুধবার সেই প্রয়াত প্রতিপক্ষের স্মরণমঞ্চেই মিলিত হচ্ছেন এক সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী। বিধান ভবনে বিধান-স্মরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে ১৯৯২ সাল থেকে। বাম আমলের বিরুদ্ধে লড়াই করে দলকে শক্তিশালী করতে সেই সময় কংগ্রেসিরা বিধান রায়ের মৃত্যুর পাদদেশে শামিল হত।

Advertisement

বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হলেও এবছর এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের সোমেন-বিরোধীরাও শামিল হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, বিধান রায়ের স্মরণ-মঞ্চ থেকে নতুন করে বাম কংগ্রেস জোট গড়ে তৃণমূল ও বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক আজকের মঞ্চ থেকে বাম কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা দিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

Advertisement

দুই দলের তরফে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। বিধানসভা নির্বাচনে এই বছর দুই দল প্রায় এক হয়ে লড়েছিল। কঠিন সময়েও জোট করে কংগ্রেস অপেক্ষাকৃতভাবে বামেদের চেয়ে ভালো ফল করে। বামেরা কম আসন পেলেও কিছুটা হলেও মুখরক্ষা হয়। বাম কংগ্রেস জোট না হলে দুই দলের ভোটব্যাঙ্কে রক্তক্ষরণ এতটাই হত যা ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে খুব কঠিন হত এই দুই দলের।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ফলে দুই দলের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ফের নতুন করে বাম কংগ্রেস কাছাকাছি এসে নিজেদের জোট মজবুত করার চেষ্টা করছে।

ইতিমধ্যেই সামাজিক দূরত্ব মেনে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমেছে বাম ও কংগ্রেস। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আগামী রণকৌশল ঠিক করতে দফায় দফায় বৈঠকও হচ্ছে। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের এই কাছাকাছি আসাটা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সংক্রামিত হয়ে জেলা এবং বুথস্তরে নেতাদের মধ্যে ভাববিনিময়ে এবং জেটি গঠনে মহড়া হিসেবে কাজ করবে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলে।

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে পার্ক সার্কাসে এক নির্বাচনী জনসভায় একই ফ্লেমে দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধি ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। জোট গঠন পুরোপুরি মসৃণ ছিল না বলে এই জোটকে ‘সাজানো সংসার’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। বিধানসভা নির্বাচরে প্রায় ৯ মাস আগে থেকে শুরু হয়ে গেল জোটের মহড়া।

Advertisement