• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 July, 2025

এসএসসির নিয়োগবিধি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের।

এসএসসির নতুন নিয়োগবিধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা। মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী। ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, নতুন নিয়োগবিধি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি সিঙ্গল বেঞ্চ। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সেই বিষয়টিকে সামনে এনে মামলাকারীদের প্রশ্ন, নিয়োগটাই সঠিকভাবে হয়নি, তাহলে শিক্ষকতা করার জন্য অতিরিক্ত ওই নম্বর কেন দেওয়া হবে? শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত নম্বরের ফলে অনেক প্রার্থীকে সমস্যায় পড়তে হবে বলেও দাবি।

আদালতে জানানো হয়েছে, নিয়োগের বয়সসীমা ও নিয়ম বিভ্রান্তি রয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চ এই বিষয়ে কোনও বার্তা দেয়নি। ফলে নতুন বিধি মেনে নিয়োগ হলে ওয়েট লিস্টেড বা ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীরা আবার সুযোগ পাবেন না। ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীরা চারটি বিষয় নিয়ে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের আদালতে আবেদন করেছিলেন। ‘টেন্টেড’ বা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’-রা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, এই আবেদনে মান্যতা দিয়েছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। এ ছাড়া আরও তিনটি বিষয় নিয়ে এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীরা।

তার মধ্যে রয়েছে, নতুন রুল সংযুক্ত করে এসএসসির বিজ্ঞপ্তি জারির সিদ্ধান্ত খারিজ করুক আদালত। বয়সের ছাড়ের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যে উল্লেখ রয়েছে, তা খারিজ করার জন্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও নম্বরের বিন্যাস সংক্রান্ত বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তা খারিজ করার আবেদনও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ মামলার শুনানি হতে পারে হাইকোর্টে।

প্রসঙ্গত, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। আগে এটি ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে এটি ছিল ৩৫ নম্বর। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ওপর দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর উপরেও থাকছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ফলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা, যাঁরা আগে ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা যোগ্যতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা। এমনই নানা কারণ দেখিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান মামলাকারীরা।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়। সেজন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে মে মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।