• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জরুরি বৈঠকে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা, একাধিক জেলার জেলাশাসক, এসডিও, বিডিও সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা।

বর্ষার শুরুতেই রাজ্যকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তর। সম্প্রতি ডিভিসি, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন ও ‘ইভিআরআরসি’-এর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে রাজ্যের সেচ দপ্তর। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা, একাধিক জেলার জেলাশাসক, এসডিও, বিডিও সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা।

সেচমন্ত্রী ডা. মানস ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় ৪৩ শতাংশ এলাকা বন্যাপ্রবণ। প্রতিবেশী রাজ্য এবং ভুটান থেকে বিপুল পরিমাণ জল এসে পড়ে বাংলায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যকে ‘গামলার মতো’ বলেও বর্ণনা করেন মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার সেচ খাতে এক টাকাও দিচ্ছে না, রাজ্য নিজের সামর্থ্যে কাজ করছে।

Advertisement

মন্ত্রী জানান, ডিভিসি এবং ইভিআরআরসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে দামোদর ও বরাকর নদীর অববাহিকায় তিন ঘণ্টা অন্তর জলস্তর ও বৃষ্টিপাতের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেইসঙ্গে আগামী সাত দিনের আগত জলের হিসেবও রাজ্যকে জানানো হবে। এর ফলে আগাম সতর্কতা দিয়ে জল ছাড়ার মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

এছাড়াও বিহার সরকারের কাছেও অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কোশী ও গন্ডক ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার তথ্য নিয়মিত পাঠানো হয়। কারণ এই জলই মালদা ও মুর্শিদাবাদের গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে প্লাবন সম্ভাবনা তৈরি করে। সেচদপ্তর নিয়মিত বিহার, ঝাড়খণ্ড, সিকিম ও কেন্দ্রীয় জল আয়োগের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে, যাতে ২০২৫-এর বর্ষা মরসুমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।

মন্ত্রী আরও জানান, চিহ্নিত দুর্বল বাঁধগুলির ১১৬টি সংস্কারের কাজ চলছে। একাজে ১৪৫.৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাঁধ মেরামতির পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, সুইস-রেগুলেটর সংস্কার ও বালি, বল্লা, মাটি মজুতের কাজও চলছে।

Advertisement