আমি কোনও অন্যায় করিনি: অর্পিতা

তাঁর বাড়িতে ২১ কোটির বেশি টাকা নগদ উদ্ধার হওয়ায় রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়,যিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।

Written by SNS Kolkata | July 24, 2022 12:26 pm

তাঁর বাড়িতে ২১ কোটির বেশি টাকা নগদ উদ্ধার হওয়ায় রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, যিনি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।

তাঁর নামে শান্তিনিকেতনে বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ির নাম ‘অপা’। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সরকারি খামের মধ্যে রাশি রাশি টাকা থাকার ছবি সামনে এসেছে।

শনিবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডি পেশ করলে তাঁকে দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

তবে খাতায়-কলমে শুক্রবার রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার দেখানো হয়। এদিন আদালতের সওয়াল জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রভাবশালী বলেও অভিহিত করা হয়।

এক্ষেত্রে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের প্রসঙ্গ উঠে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে যান ইডি’র আধিকারিকরা।

বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অর্পিতা বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। বিজেপির চাল। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বাড়ি থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। শনিবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে গাড়ি ঘুরিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল ইডি।

‘পার্থঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটিরও বেশি টাকা, ২০ টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সোনা ও বিদেশি মুদ্রাও।

টালিগঞ্জের কাছে হরিদেবপুরের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট সেখানে তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। অর্পিতার বাড়িতে প্রথমে চারটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পরে আরও তিনটি মেশিন আনা হয় ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে ওই মেশিন ব্যবহার করে উদ্ধার হওয়া অর্থ গোনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অর্পিতাকে এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হচ্ছে না, বদলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে।

এদিকে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে অর্পিতা যে আবাসনে থাকেন, সেখানে পাঠানো হয় একটি ট্রাক পাঠানো হয়। সেই ট্রাকেই তোলা হয় ৪০ টি ট্রাঙ্ক।

যাতে রয়েছে অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সেই কোটি কোটি টাকা। আপাতত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লকারেই রাখা থাকবে এই টাকা।

বাজেয়াপ্ত করা প্রতিটি নোটের নম্বর মিলিয়ে তা রাখা থাকবে হিসাবের খাতায়। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে কোনও ব্যাঙ্কে ই নিজের তত্ত্বাবধানে রাখতে পারে।

বর্তমানে এই বিশাল অঙ্কের টাকা রাখা এসবিআইয়ের স্ট্র্যান্ড রোড লকারে টাকার অঙ্ক একেবারের কয়েক কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে।

তাই সরাসরি মাঠে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যতদিন এই অর্পিতার বিরুদ্ধে মামলা চলবে, ততদিন তাঁর নামেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই টাকা তাদের হেফাজতে রাখবে।

যদি মামলা চলাকালীন সময় যথাযথ প্রমাণ সহ টাকার দাবি করতে পারেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তবে তা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে, অন্যথায় তা চলে যাবে কেন্দ্রীয় কোষাগারে।