• facebook
  • twitter
Saturday, 5 October, 2024

ভারী বৃষ্টির জেরে কোন জলাধার থেকে কী পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে?

পাঞ্চেত থেকে ৫০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। এখন সেখান থেকে প্রায় ৯০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। বন্যার কবলে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা।

ইতিমধ্যে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যারেজগুলিতেও জলের চাপ বেড়েছে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যার জেরে দুর্গাপুর ব্যারেজেও জলের চাপ বেড়েছে। বাধ্য হয়ে জল ছাড়তে হয়েছে এই বাঁধ থেকে। সোমবার দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৮০ হাজার ৩৫০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। পরে কিছুটা কমানো হয়। মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজে এক লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। কিন্তু ফের আরও বাড়ানো হয়। বিকেল ৪ টে নাগাদ দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয় ১ লক্ষ ৯৬ হাজার কিউসেক হারে। এরপর আরও কিছুটা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। সেচ দপ্তরের আশঙ্কা, যে বিপুল পরিমাণ জল উপর থেকে আসছে, তার ফলে রাতের দিকে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে পাঞ্চেত জলাধার থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়েছে। আগে পাঞ্চেত থেকে ৫০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। এখন সেখান থেকে প্রায় ৯০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। বন্যার কবলে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। ডিভিসি জানিয়েছে, ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ২ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে ডিভিসির দাবি, ঝাড়খণ্ড সরকার তেনুঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়াতে হচ্ছে।

আবার মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে। আগে মাইথন থেকে প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। এখন সেখানে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে।