মালদহের স্কুলে শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগে ৯ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য। পাশাপাশি দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে সংসদ।
পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানোকে কেন্দ্র করে বুধবার মালদার বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তল্লাশি চালানোর সময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, সেই সময়ই কয়েকজন পরীক্ষার্থী স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট স্কুলের ছ’জন শিক্ষক জখম হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংসদ। পাশাপাশি দুটি স্কুলকেও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ার সার্কিটের ৭টি স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পড়ুয়াদের শাস্তির কথা ঘোষণা করলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে। তবে আপাতত দুই স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারবেন। কিন্তু পরে যদি দেখা যায়, ৯ জন পড়ুয়া ছাড়াও অন্য কেউ শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় যুক্ত, তাহলে তাদেরও পরীক্ষা বাতিল করা হবে।এমনকী পরীক্ষার শেষদিনে পড়ুয়ারা যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর করে তাহলে পরীক্ষার্থীদের স্কুলকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া হবে। সেই স্কুলকেই দিতে হবে সমস্ত ক্ষতিপূরণ। উল্লেখ্য, গতবছর মালদহের একটি স্কুলের কাছ থেকে এভাবেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছিল।