বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি চলে। করোনা পরিস্থিতিতে মামলাগুলির ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলে। এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি তথ্য গোপন নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলে।
মামলাকারী ড. ফুয়াদ হালিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়। মামলার পিটিশনে উল্লেখ করা থাকে যে, আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মানছেনা রাজ্য। সেই সাথে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত, নিহত সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। এহেন বক্তব্য মামলার প্রাক্কালে ই-মেল মারফত এবং বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে রাখেন মামলাকারী এবং তার আইনজীবী।
Advertisement
কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা রাজ্যকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যগুলিকে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছেন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পুনরায় জনস্বার্থ সহ গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি রয়েছে। রাজ্যে করোনায় তথ্য গোপন নিয়ে ড. ফুয়াদ হালিমের পাশাপাশি স্মরজিৎ রায় চৌধুরি নামে আরেক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলাটি করেন।
স্মরজিৎবাবুর ভিডিও কনফারেন্স সওয়ালে উঠে আসে, করোনায় কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্য প্রক্রিয়াটি কি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা হচ্ছে। বস্তি এলাকায় সেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি প্রচার অভিযান নেই। তা ছাড়া সরকারি বেসরকারি ত্রাণ ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না দুর্গতদের কাছে।
অপরদিকে এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সব প্রশাসনিক দফতর নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে করোনা নিয়ে সর্বশেষ রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে এই রাজ্যে ৭১ জন আক্রান্ত, তাও ১১’টি পরিবারের মধ্যে ৬১ জন রয়েছেন। সেই সঙ্গে করোনায় ৫ জন মারা গেছেন বলে রাজ্যের তরফে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement



