নির্দেশিকা জারি নবান্নের, খুলছে মল, রেস্তরাঁ, হোটেল

দেশজুড়ে পঞ্চমবার লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকারও নির্দেশিকা জারি করল বিভিন্ন পরিষেবা চালু করা নিয়ে।

Written by SNS Kolkata | May 31, 2020 6:27 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

দেশজুড়ে পঞ্চমবার লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকারও নির্দেশিকা জারি করল বিভিন্ন পরিষেবা চালু করা নিয়ে। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী জনজীবন স্বাভাবিক করতে বেশ কিছু পরিষেবার কথা বলেছিলেন। সেই সঙ্গে আরও কিছু সংযোজন করা হল শনিবারের নির্দেশিকায়। আগামী পয়লা জুন থেকে ছোট বড় সব শিল্প সংস্থা একশো শতাংশ নিয়ে কাজ করতে পারবে। সেই সঙ্গে হোটেল, রেস্তরাঁ এবং শপিং মলগুলিও খুলে যাবে। স্টুডিওপাড়ায় শর্তসাপেক্ষে শ্যুটিংও শুরু হয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পঞ্চমদফার লকডাউন নীতি এবং রাজ্যে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রগুলির কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশিকায় ছাড়ের পরিধি ঠিক করা হল নবান্নের তরফে। এদিন রাজ্য সরকারে তরফে বলা হয়েছে চা বাগান, পাট শিল্প এবং আবাসনের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে। মাঝারি, ক্ষুদ্র এবং অতিক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলিও একশো কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। খনিজ এবং বৃহৎ শিল্প সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এইসব শিল্প সংস্থাগুলিতে নয়া বিধি কার্যকর হবে পয়লা জুন থেকেই। তবে সর্বত্রই সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে।

শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন সরকারি এবং বেসরকারি বাস কতগুলি সিট, কতজন যাত্রী নিয়ে গণ পরিবহণের পরিষেবা চালু করতে পারবে পয়লা জুন থেকেই। তবে সবাইকেই মাস্ক ও গ্লাভস পরে বাসে উঠতে হবে। স্থানীয় থানার অনুমতি নিয়ে পয়লা জুন থেকে সব ধর্মীয় স্থানগুলি খুলে যাবে। তবে দশজনের বেশি প্রবেশ করা যাবে না।

সরকারি দফতরে ৮ জুন থেকে সত্তর শতাংশ কর্মচারী নিয়ে কাজ হবে। তবে তা হবে একদিন অন্তর। অর্থাৎ একজন কর্মী সপ্তাহে তিনদিন অফিসে আসবেন। বেসরকারি অফিস কতজন কর্মী নিয়ে কাজ করবে, সেটা তারাই ঠিক করবে। তবে কোনওক্ষেত্রেই কর্মী হাজিরা সত্তর শতাংশের বেশি হবে না। সবরকম হোটেল, রেস্তরাঁ, শপিং মল ৮ জুন থেকে খুলে যাবে। তবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।

টলিপাড়ায় শ্যুটিং শুরু হবে সর্বাধিক ৩৫ জনকে নিয়ে। শনিবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে এই নিয়মের বাইরে কোনওভাবেই যাওয়া যাবে না। নিয়ম ভাঙলে সেই সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকার কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ নেবে।