অসহিষ্ণুতার বদলে সহিষ্ণুতা, হিংসার পরিবর্তে সম্প্রীতি। রামনবমী নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে হুঁশিয়ারি এবং পাল্টা হুঁশিয়ারির জেরে উত্তাপ বাড়লেও স্রোতের বিপরীত দিকে হাঁটছেন মালদহের মুসলিমরা। বরং তাঁরা এই মিছিলে সম্প্রীতির বার্তা দিতে পুষ্পবৃষ্টির পরিকল্পনা করেছেন। সেই সঙ্গে মিছিলের সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণকারীদের জল-সরবত-মিষ্টিও বিতরণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এভাবে সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়তে চলেছে মালদহের মুসলিম সমাজ। ইতিমধ্যে সেই উদ্যোক্তা কমিটির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত রামনবমীকে কেন্দ্র করে ক্রমেই শাসক-বিরোধী চাপান-উতোরের মধ্যে মালদহের সংখ্যালঘু সমাজের এই উদ্যোগ রাজ্যের মানুষের কাছে নিঃসন্দেহে সম্প্রীতির একটি অনন্য গাইডলাইন হতে চলেছে। প্ররোচনা বা অসহিষ্ণুতার পরিবর্তে সম্প্রীতির এই মেলবন্ধন রাজনৈতিক নেতাদের বাড়া ভাতে ছাই দিতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে যেভাবে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে সেখানে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
Advertisement
যদিও মালদহের আটকোশি মুসলিম কমিটির সম্পাদক আসিফ হোসেন বলেন, এবারেই প্রথম নয়, প্রতিবারই তাঁরা এই আয়োজন করে থাকেন। তাঁর কথায়, বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। এখানে জাতপাতের কোনও ভেদাভেদ নেই। তাই প্রতি বছরই তাঁরা রামনবমীতে এই আয়োজন করে থাকেন। তিনি এও বলেন, রাজ্যের মানুষকে বলব, কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে কোনও অশান্তির পথে হাঁটবেন না। কারণ, একমাত্র ক্ষমা, ভালবাসায় পারে সমাজকে হিংসামুক্ত করতে।
Advertisement
উল্লেখ্য, বছর ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচন। ফলে রামনবমী নিয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি অন্যান্য বারের থেকে একটু স্বতন্ত্র। বিজেপি চাইছে, এই উৎসবকে শিখন্ডি করে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত হিন্দু ভোটকে তাঁদের দিকে আনতে। আর সেজন্য রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সাজ সাজ রব। রামনবমী মিছিলকে ঘিরে তাঁদের আস্ফালন চোখে পড়ার মতো। কলকাতা থেকে জেলা, রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। অতীতে রামনবমীর দিন কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে এবারে পুলিশের নজরদারিও চোখে পড়ার মতো। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পুলিশের রুটমার্চও।
Advertisement



