• facebook
  • twitter
Wednesday, 26 March, 2025

খরচ কমবে বিদ্যুতের

এলাকায় বাড়ি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সব দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন জমিদাতারা

ফাইল চিত্র

দেউচা পাচামি কয়লাখনির কাজ শুরু হওয়ায় আগামী ১০০ বছর রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে খরচও কম হবে। বুধবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশের পর দেউচা পাচামি নিয়ে এ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি জানান, দেউচা পাচামিতে অনেক ছেলেমেয়ে হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছে। আদিবাসীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও টাকা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় বাড়ি, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সব দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন জমিদাতারা। বর্তমানে সরকারের জমিতেই কাজ হচ্ছে। কিন্তু আরও জমি লাগবে। সেই জমি যারা দেবেন তাঁরাও টাকা, বাড়ি পাবেন। মমতা আরও জানান, দেউচা পাচামিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাশিল্প হচ্ছে। এর ফলে আগামী প্রজন্ম ১০০ বছর লোডশেডিংয়ের সমস্যায় ভুগবে না। পাশাপাশি কয়লা উৎপাদন হলে বিদ্যুতের দামও কমবে। বিদ্যুতের দাম নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন সিইএসসিকে দুষেছেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ায় না। সিইএসসি দাম বাড়ায়। এর উপর রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না, কারণ সিইএসসি স্বশাসিত সংস্থা। তবে বিদ্যুতের দাম যে ভবিষ্যতে কমবে সেই আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। এছাড়াও দেউচা পাচামিতে কমপক্ষে ১ লক্ষ যুবক-যুবতী চাকরি পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দেউচা পাচামি কয়লাখনিতে কাজ শুরু হয়েছে। সেই দিনই বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন স্থানীয় ও জমিদাতারা। যদিও তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পর সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। তারপর শুরু হয়েছে কাজ।