• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিডিওদের ‘ধমক’ নির্বাচন কমিশনের, ক্ষুব্ধ মহুয়া

রাজ্যের বিডিও, ইআরও-সহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের রীতিমতো ধমকানোর অভিযোগ উঠল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাজ্য-রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা। এবার রাজ্যের বিডিও, ইআরও-সহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের রীতিমতো ধমকানোর অভিযোগ উঠল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। বিতর্কের সূত্রপাত একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে, যা ২৭ অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজ্যের সকল বিডিও, ইআরওদের পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিডিও, ইআরওরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মানতে বাধ্য। কমিশনের নির্দেশ অমান্য করলে, তার ফল যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনের হুঁশিয়ারি, ‘আপনারা (বিডিও, ইআরও) নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ, তা ভুলে যাবেন না। কমিশনের নির্দেশ যথাযথ পালন না করা হলে সাসপেন্ড হতে হবে। এমনকি জেল পর্যন্ত হতে পারে।’ চিঠিটি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় বয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তাঁর আক্রমণ, ‘এটি বিজেপি সরকারের ভোট চুরির আরও একটি প্রক্রিয়া!’

বৃহস্পতিবার চিঠিটি দেখিয়ে মহুয়ার প্রশ্ন, ‘বাংলায় নির্বাচনের এখনও ৭-৮ মাস বাকি। এই অতি সক্রিয়তা কীসের জন্য? আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন নির্বাচন কমিশন এই চিঠি দিলে তার অর্থ আমরা বুঝতাম। কিন্তু এখন কেন? নির্বাচন কমিশন কি রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের বাবা-মা? তাঁদের ধমকানো চমকানো হচ্ছে কেন?’ তাঁর সংযোজন, ‘এখন তৃণমূল বনাম অন্য রাজনৈতিক দল আর নেই। একদিকে তৃণমূল এবং অন্যদিকে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমরা সংসদে আগেও বলেছি, আবারও বলব যে নির্বাচন কমিশন আদতে ভোট চোর সংস্থা!’ উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ও বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায়। কিন্তু বড়রা যদি ললিপপ খায় কোনও নির্দিষ্ট দলের হয়ে, সেটা মানায় না। ললিপপ সরকার বিডিও, এসডিও, ডিএম, পুলিশদের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে চাকরি খেয়ে নেব, জেলে পুরে দেব! শুনে রাখুন, নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়। তারপরে কিন্তু রাজ্য সরকারই থাকে। কমিশনের আয়ু নির্বাচন চলাকালীন মাত্র তিন মাস, গায়ের জোরে এসব হবে না।’

Advertisement

Advertisement

Advertisement