পশ্চিমবঙ্গে চলছে এসআইআরের কাজ। সেই কাজের জন্য এবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যে আসছেন আরও পাঁচ জন পর্যবেক্ষক। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এক জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল কমিশন। এছাড়াও রাজ্যে আছেন ১২ জন এসআইআর পর্যবেক্ষক। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নিযুক্ত। এবার নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করল আরও পাঁচ জন পর্যবেক্ষক। তাঁরা পাঁচটি ডিভিশনের কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন।
সোমবার সকালে কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।পাঁচ ডিভিশনে পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় আইএএস অফিসারকে স্পেশাল রোল অবজার্ভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি ডিভিশন মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদহ, প্রেসিডেন্সি এবং জলপাইগুড়িতে কাজ করবেন। সংবিধানের ৩২৪(৬) ধারা অনুযায়ী এই পর্যবেক্ষকরা গোটা প্রক্রিয়া চলাকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকবেন।
Advertisement
জানা গিয়েছে মেদিনীপুর ডিভিশনে নিযুক্ত হয়েছেন নীরজ কুমার বানসোড় (আইএএস, জয়েন্ট সেক্রেটারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক), প্রেসিডেন্সি ডিভিশনে নিযুক্ত হয়েছেন (কুমার রবি কান্ত সিংহ, আইএএস, জয়েন্ট সেক্রেটারি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক), মালদহ ডিভিশনে নিযুক্ত হয়েছেন অলোক তিওয়ারি (আইএএস, জয়েন্ট সেক্রেটারি, অর্থ মন্ত্রক), জলপাইগুড়ি ডিভিশনে যোগ দিচ্ছেন পঙ্কজ যাদব (আইএএস, জয়েন্ট সেক্রেটারি, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক) এবং বর্ধমান ডিভিশনে যোগ দিচ্ছেন কৃষ্ণ কুমার নিরালা, (আইএএস, জয়েন্ট সেক্রেটারি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক)।
Advertisement
কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, এই পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব থাকবে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নজর রাখা। তাঁদের দেখতে হবে যাতে কোনো যোগ্য ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন। কোনো অযোগ্য ব্যক্তিকে যেন ভোটার তালিকাভুক্ত না করা হয়। এছাড়াও এসআইআরের প্রতিটি ধাপের কাজ যেন সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।জানা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই পর্যবেক্ষকরা নিজেদের ডিভিশনে কাজ করবেন। এই পর্যবেক্ষকরা কোনোভাবেই স্থানীয় কর্মীদের সার্টিফিকেট দিতে পারবেন না। যদি মনে হয় কেউ ভালো কাজ করছেন তবে তাঁরা সরাসরি কমিশনে প্রস্তাব পাঠাতে পারেন।
কমিশন জানিয়েছে , এসআইআরে শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। তাঁদের মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯। বাকি ভোটারদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন। আবার কোনও ভোটারের পরিচয়পত্র ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার একজনও নেই, এরকম সাতটি বুথ রয়েছে।
রাজ্যের জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফ থেকে প্রথমে যে তথ্য কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুসারে এই সংখ্যা ছিল আরও অনেক বেশি। বলা হয়েছিল, রাজ্যের ২,২০৮টি বুথে গত এক বছরে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়নি বা সেখান থেকে কেউ অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হননি। সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই অতিরিক্ত সজাগ হয়েছে কমিশন। ভোটারতালিকা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান যাতে নির্ভুল হয়, কমিশন সেটাই চাইছে। সেই কারণে ডিভিশন ভিত্তিক তথ্য ভালো ভাবে খতিয়ে দেখতে নিয়োগ করা হল পাঁচ জন পর্যবেক্ষককে।
Advertisement



