• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 July, 2025

অতি ভারী বৃষ্টিতে মাটির বাড়ি ধসে মৃত্যু বৃদ্ধার, আতঙ্ক কাটাতে নজরদারি

অতি ভারী বৃষ্টিতে মাটির বাড়িতে ধস নেমে এক মহিলার মৃত্যু হল। পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় বুধবার থেকে মাটির বাড়িতে ধস নামতে শুরু করেছে।

অতি ভারী বৃষ্টিতে মাটির বাড়িতে ধস নেমে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যু হলো। পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় বুধবার থেকে মাটির বাড়িতে ধস নামতে শুরু করেছে। আর ওই ঘটনায় মৃত্যু হলো একজনের। মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কালনা মহকুমার জিওলগড়িয়া গ্রামে। বছর আশির ওই বৃদ্ধ মহিলা বাড়ির ভিতরে থাকাকালীন অবস্থায় দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যান। এছাড়াও বর্ধমানের মন্তেশ্বর, ভাতার, জামালপুর, পূর্বস্থলী এলাকায় মাটির বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ও ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ওই সব এলাকায়। এর পাশাপাশি অতি বৃষ্টিতে জেলার বেশিরভাগ ব্লকেই রাস্তাঘাট বেহাল। বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিক হয়নি যাতায়াত ব্যবস্থা।

গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমানের মতো কৃষি প্রধান জেলায় চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় ধানের বীজতলায় পচন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ভেঙে বিভিন্ন গ্রামে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন। তবে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবার মাটির বাড়িতে থাকা মানুষজন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে। কারণ বুধবার থেকেই জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় মাটির বাড়ি ভাঙার খবর মিলেছে। এর জন্য অবশ্য প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে তারই মধ্যে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো এক মহিলার। দেওয়াল চাপা পড়ে নাদনঘাট পঞ্চায়েতের জিওলগড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধা নূরছালিমা মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় এখন শোকের ছায়া। জানা গেছে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির কাঁচা বাড়িঘরদোর রয়েছে। কালনা মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি তাঁদের সরিয়ে ফেলা হয়। একই সঙ্গে মন্তেশ্বর, ভাতার এলাকাতেও মাটির বাড়িতে জল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল বলেন, সকলকে স্কুল ঘরে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

মাটির বাড়ি নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে দামোদর লাগোয়া জামালপুর ব্লকেও। এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহেমুদ খান জানান, শম্ভুপুর লাগোয়া এলাকায় পরিবার গুলোকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা আছে। এরই মধ্যে নদী সংলগ্ন কয়েকটি এলাকায় তিনি বেশ কয়েকটি পরিবারের লোকজনকে ত্রিপল দিয়েছেন। অন্যদিকে একটানা বৃষ্টিতে বর্ধমানের ভাতারে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তাঘাট এখনও জলমগ্ন। খড়ি নদীর জলে রাস্তা ডুবে থাকায় বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন ছিল ভাতারে। গুসকরা শহরেও যাতায়াত ব্যাবস্থা বেহাল। গুসকরায় কুনুর নদীর সেতুর ওপর দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে। যাতায়াত বন্ধ ওই সেতুতে।

এরই মধ্যে পূর্বস্থলী-১ ব্লকের দোগাছিয়াতে যে ১১টি পরিবার মাটির বাড়িতে ছিলেন তাঁদের বৃহস্পতিবারই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন বলে জানান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক।

News Hub