বেআইনিভাবে বিপুল অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক প্রাক্তন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুবোধকুমার গোয়েল। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিএমডি পদে ছিলেন অভিযুক্ত। শুক্রবার দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার কলকাতায় এনে আদালতে তোলা হয়েছে।
ইডির দাবি, স্টিল ও সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার সঞ্জয় সুরেখাকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়। সেই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র পরীক্ষাও করা হয়নি। এই কারচুপির ঘটনায় সরাসরিভাবে যুক্ত ছিলেন সুবোধকুমার গোয়েল। ইডির দাবি, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ন্যূনতম নিয়ম মানতে হয়, তা তিনি মানেননি। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্তাকে।
ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, স্টিল ও সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার একাধিক বেনামি সংস্থা খুলে সেই টাকা সরিয়ে ফেলেছিলেন। পুরো বিষয়টা জানতেন তৎকালীন সিএমডি। বিপুল অঙ্কের টাকা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে সিএমডি হওয়ার সুবাদে তিনিও লাভবান হয়েছেন। এরপর ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে সুবোধকুমার গোয়েলকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এদিকে অন্য একটি মামলায় অর্থ তছরুপের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গুজরাটের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ইডি। সূত্রের খবর, তিনি অন্তত ১৫টি ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ওই ব্যক্তি গুজরাতের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া সংবাদপত্র ‘গুজরাত সমাচার’-এর সহ-মালিকও। বিরোধীদের অভিযোগ, গুজরাটের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার জন্যই ওই ব্যবসায়ী পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।