এই মাসের শুরুর দিকে তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) এবং AITC – এর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিয়েছেন

তৃণমূল কংগ্রেসের 31 জন বড় মাপের নেতারা দেশের জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য মাইক্রো-ব্লগিং Koo (কু) অ্যাপকে বেছে নিয়েছেন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হিসাবে।

Written by SNS Delhi | September 19, 2021 11:44 am

দেশের মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ Koo (কু)-তে তৃণমূলের কংগ্রেসের শক্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলের 31 জন বড় নেতা Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিয়েছেন যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে তৃণমূল কংগ্রেস এই দেশীয় মাইক্রোব্লগিং অ্যাপে তার নতুন অবস্থান তৈরি করেছে।

যার ফলে আন্দাজ করাই যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী শক্তি হিসেব বিজেপিকে জোর টক্কর দিতে চলেছে। আগামী বছরের অন্য রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের আগে বাংলার শাসক দলের অনেক নেতা এবং কর্মীরা এখন Koo (কু) অ্যাপে যোগদান করছেন।

যার মাধ্যমে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে দেশের আঞ্চলিক ভাষার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তৃণমূল ভোটারদের মধ্যে জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে। এই মাসের শুরুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম শক্তিশালী নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিয়েছেন, তারপর থেকেই দলের বহু নেতা এবং সমর্থকরা Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিচ্ছেন।

Koo (কু) অ্যাপে শুরুর দিকে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা আসতে শুরু করেন এবং তাঁদের অনুসরণকারীদের সংখ্যাও খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে গত কয়েক মাস ধরে, বিরোধী দলের নেতারাও Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিচ্ছেন এবং তাঁদেরও অনুসরণকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

কেন Koo (কু) তে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব বাড়ছে?

পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের পর তৃণমূলের চোখ এখন অন্যান্য রাজ্যগুলিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা নির্বাচনগুলির ওপর। মনে করা হচ্ছে যে তৃণমূল অন্য রাজ্যের নির্বাচনগুলিতে এবার নিজেদের ভাগ্যের পরীক্ষা করবে। ফলে অন্য রাজ্যের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য অন্যতম উপায় হল আঞ্চলিক ভাষা। তৃণমূল যথাযথভাবে ডিজিটাল জগতের মাধ্যমে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করছে। আর সেইজন্য Koo (কু) অ্যাপে নিজেদের সম্প্রসারণ শুরু করেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা এখন কু (Koo) তে।

তৃণমূল কংগ্রেসের বড় মাপের নেতারা উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে এই জনপ্রিয় অ্যাপে যুক্ত হচ্ছেন। Koo (কু)-তে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের আগমনের পর মলয় ঘটক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (@Aitcsobhandeb), চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য (@chandrimaaitc), ইন্দ্রনীল সেন (@indranilSentmc) , রথীন ঘোষ (@rathinghoshtmc) মনোজ তিওয়ারি (@manojtiwaryofficial) সহ 31 জন বড় নেতা Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের অনুসরণ করে তৃণমূলের বিশাল সংখ্যক সমর্থকরাও অ্যাপে যোগ দিচ্ছেন।

সকলের নজর এখন হিন্দি সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের (Users) দিকে

দেশীয় মাইক্রোব্লগিং সাইট Koo (কু) দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, সম্প্রতি 1 কোটিরও বেশি ইউজার এই অ্যাপে যোগ দিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী হিন্দিভাষী মানুষ। গত বছর টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মতভেদের পরে, বিজেপির অনেক বড় মাপের মন্ত্রী Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিয়েছিলেন। আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারকারীর সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, এখন বিরোধী দলগুলিও এই প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে।

Koo(কু) অ্যাপে বিরোধীদের ভিড়

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ Koo (কু) অ্যাপে ভীষণ সক্রিয়। বিগত কয়েকসপ্তাহ ধরে বিরোধী দলের বহু নেতা Koo (কু) অ্যাপে যোগ দিয়েছেন। বহুজন সমাজ পার্টির বর্ষীয়ান নেতা তথা জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র মিশ্র Koo (কু) অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) নেতা তেজ প্রতাপ যাদবও অ্যাপে যোগ দিয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের আম আদমি পার্টির ভারপ্রাপ্ত নেতা সঞ্জয় সিং, আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ এবং সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির ওমপ্রকাশ রাজভর, অরবিন্দ রাজভর এবং অরুণ রাজভর, আপনা পার্টির অনুপ্রিয়া পাটেল ইতিমধ্যেই উপস্থিত রয়েছেন ভারতীয় মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্মে এবং হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছেন।