• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

টিটাগড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি ৫০ জন

গত তিন-চার দিন ধরে টিটাগড় ও আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। তীব্র গরমের মাঝে আচমকা ঝড়বৃষ্টি ও তাপমাত্রার ওঠানামার জেরে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে নানা ধরনের অসুখ। এর জেরে টিটাগড়, খড়দহ ও পানিহাটি এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। একাধিক মানুষ পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০-৬৫ জন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন। বেশিরভাগ রোগীর চিকিৎসা চলছে খড়দহের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিন-চার দিন ধরে টিটাগড় ও আশপাশের এলাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে জানান, ‘আমাদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।’ খড়দহ পুরসভার চেয়ারম্যান নীলু সরকারও জানিয়েছেন, তাঁদের পুরসভা এলাকায় তিনজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

Advertisement

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, টিটাগড় পুরসভায় পানীয় জলের সমস্যাকেই এই পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, বেশ কিছু এলাকায় পানির মান ভালো নয়, আর সেখান থেকেই রোগ ছড়াতে পারে।

Advertisement

খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরীর মা-ও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বলরাম হাসপাতালে ভর্তি। দিব্যেন্দু জানান, শনিবার রাতে প্রথম তাঁরই এলাকা থেকে নিরাপত্তারক্ষী তরুণ বাগ ও তাঁর মা হাসপাতালে ভর্তি হন। তরুণের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে তাঁকে পরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়। এরপর থেকে একে একে টিটাগড় ও আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই ভর্তি হন হাসপাতালে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন শিশু বিভাগের চিকিৎসকও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ জানান, ‘পুরসভার ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫-২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আমি আজ সকালেই এলাকায় গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে কিছু কলে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তবে গোটা এলাকায় সমস্যা নেই। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকুন। মঙ্গলবার ও বুধবার এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে।’

প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, পানীয় জলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর একযোগে কাজ করছে।

Advertisement