• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

দলীয় কার্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে এসে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে

তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে এসে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের স্ত্রী কাকলি চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে এক যুবককে কয়েকজন মিলে মারধর করছে বলে তিনি খবর পান। এরপর তিনি গিয়ে আক্রান্ত যুবককে উদ্ধার করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের নাম সংবিদ গোস্বামী। তিনি কলকাতার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি মালদহ শহরের কুট্টিটোলা এলাকায়। সংবিদের বাবা কাজল গোস্বামী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য। পাশাপাশি তিনি বিজেপির সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ইংলিশবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের ধারে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন সংবিদ।
সেই সময় কয়েকজন তাঁকে জোর করে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর কাকলী চৌধুরী। তিনি সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সংবিদ ও তাঁর বাবা কাজল। কাজলবাবু জানিয়েছেন, কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান কাজল। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, মারধরের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

Advertisement