বাংলায় অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিনশোর ঘর ছুল। গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ৩২ জনের আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, সব মিলিয়ে বুধবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০০, মৃতের সংখ্যা ১৫। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, আসানসোল, শিলিগুড়ি জেলা থেকে সংক্রমণের খবর এসেছে।
মালদহের করোনা টেস্ট সেন্টারে অবশ্য কোনও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। সেখানে ৮৫’টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, সবক’টিই নেগেটিভ এসেছে। এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক সদস্যদের সংস্পর্শে এসেই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে গৃহবন্দি রাখার জন্য আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
Advertisement
মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যের হটস্পট’গুলিতে যে কড়াকড়ি করা হচ্ছে সেকথা জানিয়ে মুখ্যসচিব জানান, ওইসব এলাকায় কোনও শিল্পসংস্থা কিংবা উদ্যোগপতিকে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। রাজ্যের কোভিড হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
Advertisement
মুখ্যসচিব তথ্য দিয়ে বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুতোর থেকেও মোবাইল থেকে করোনা সংক্রমণ বেশি ঘটে। এমনিতেই রাজ্যের অনেক অভিজাত হাসপাতালে আইসিইউতে আগে থেকেই মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ছিল। কোভিড হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে সেই সতর্কতা বাড়ানো হল। এই ধরনের হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যে ল্যান্ড ফোনই ব্যবহার করতে হবে।
ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা যে কেউই ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকবেন, তাদের মোবাইল বাইরে জমা রেখে ঢুকতে হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব। তবে রাজ্য সরকার হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে পারে, এই সংবাদ সামনে আসতেই সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করছে বিরোধী শিবির।
বিশেষত এদিন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এম আর বাঙুরে এক ব্যক্তির তোলা একটি ভিডিও পোস্ট দেখিয়ে টুইট করেন, সেখানে বাড়ির লোককে না বলে করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকার করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। তবে এরপরই হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির কার্যকারণ খুঁজছে বিরোধীরা।
Advertisement



