বরাবরই তিনি শিশুদের খুব ভালোবাসেন। জেলা সফরে বেরিয়ে কখনও শিশুদের কোলে তুলে নেন। আবার কখনও নিজে হাতেই খুদেদের বিলি করেন চকোলেট, উপহার। শিশু দিবসের দিন তো নিয়ম করে কচিকাঁচাদের সঙ্গে সময় কাটান। সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মেয়ের নাম রাখার আবদার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার তৃণমূল বিধায়ক শম্পা ধারা। সোমবার সাড়ে চার মাসের মেয়েকে নিয়েই বিধানসভায় আসেন শম্পা।
মেয়েকে কোলে নিয়ে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে অপেক্ষা করছিলেন রায়নার বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে শম্পাদেবীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তাঁর উপরই দায়িত্ব পড়েছে মেয়ের নাম রাখার। তখন মুখ্যমন্ত্রী শম্পার ছোট্ট মেয়ের নাম দেন ঐশী। যার অর্থ ‘যে ঈশ্বরিক শক্তিতে পরিপূর্ণ’। ঐশীকে কোলে তুলে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদরও করেন। আশীর্বাদস্বরূপ উপহারও তুলে দেন। স্বভাবতই এই দৃশ্য দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন শম্পা।
মুখে চওড়া হাসি নিয়ে শম্পা বলেন, ‘বহুদিন ধরেই ইচ্ছা ছিল, মুখ্যমন্ত্রীই মেয়ের নামকরণ করবেন। সেই আশাতেই সোমবার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিধানসভার লবিতে অপেক্ষা করছিলাম। দুটো নাম বলেছিলেন দিদি। কিন্তু ঐশী নামটাই আমার পছন্দ হয়েছে। সেই মতো আজ থেকে ওর পরিচয় হবে এই নামেই। মেয়ের অন্নপ্রাশনে আসার কথাও দিদিকে বলেছি। উনি মেয়েকে আদর করে আশীর্বাদ করেছেন। আমি খুব খুশি।’
অবশ্য এটাই প্রথম নয়, এর আগে শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গিয়ে প্রসূতি বিভাগে ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও এক মায়ের ছোট্ট সন্তানের নামকরণ করেন তিনি। শুধু মানব সন্তানই নয়, দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় গিয়ে দুই তুষারচিতার শাবকের নাম চার্মিং ও ডার্লিং রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।