ভাল ‘ম’ আর মন্দ ‘ম’-এর মধ্যে বেছে নিন, বলছে তৃণমূল 

শনিবার বর্ধমান থেকে নাড্ডা যখন মমতাকে আক্রমণ করছেন, সেই সময় কলকাতার তৃণমূল ভবন থেকে কৃষক সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করল তৃণমূল।

Written by SNS Kolkata | January 10, 2021 12:00 pm

তৃণমূল (File Photo: IANS)

শনিবার বর্ধমান থেকে নাড্ডা যখন মমতাকে আক্রমণ করছেন, সেই সময় কলকাতার তৃণমূল ভবন থেকে কৃষক সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করল তৃণমূল। লিখিত বিবরিতি প্রকাশ করে বলা হল, ‘এক ‘ম’ কৃষকদের কথা ভাবেন না, আর এক ‘ম’ কৃষকদের জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন।’ 

নাম না করে নরেন্দ্র মােদি এবং মমতার কথাই এই বৃিতিতে বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরে সাংবাদিক বৈঠকেও একই কথা বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর প্রশ্ন, ‘এর পরেও কীভাবে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যের কৃষকদের প্রতি অনুন্নয়ের কথা বলছেন।’ 

পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, ২০১১ সালে বাংলায় কৃষকদের আয় ছিল ১০ হাজার। কিন্তু গত ১০ বছরে সেই আয় পৌঁছে গিয়েছে, ২ লাখ ৯০ হাজারে। চন্দ্রিমা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের রাজ্যের কৃষকদের আয় তিন গুণ হয়েছে। আর যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার চলছে, তাদের লক্ষ্য ২০২৮ সালের আগে তা পূর্ণ হতে পারে না। তাই কৃষকদের উন্নয়নে কে আন্তরিক এটাতেই স্পষ্ট।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কৃষকদের ফসলের বিমার প্রিমিয়াম দিতে হয়। বাংলার কৃষকদের কোনও অর্থ দিতে হয় না। রাজ্য সরকারই তাঁদের প্রিমিয়াম দিয়ে দেয়। বাংলার ৯২ শতাংশ কৃষক কিসান ক্রেডিট কার্ড পেয়েছেন। বাংলায় কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে এর পিছু পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। 

তুলনা টেনে বলা হয়েছে, পিএম কিসান প্রকল্পে সেই অর্থের পরিমাণ ১২১৪ টাকা মাত্র। এ ছাড়াও ১৮-৬০ বছর পর্যন্ত বয়সে কৃষকদের মৃত্যু হলে ৫ লক্ষ আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় পরিবারকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এমন কোনও আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়নি।