• facebook
  • twitter
Friday, 14 November, 2025

উত্তরবঙ্গ পুনর্নির্মাণে কেন্দ্রের সাহায্য লাগবে না জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, ৮ উদ্ধারকারীকে পুরস্কার

হড়পা বানে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গে কাজ খতিয়ে দেখতে রবিবার ফের সেখানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা কেন্দ্রের সাহায্যের জন্য বসে নেই। রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগেই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। হড়পা বানে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গে কাজ খতিয়ে দেখতে রবিবার ফের সেখানে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কলকাতায় ফিরেছিলেন তিনি। তিন দিন পর রবিবার ফের উত্তবঙ্গে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।  রবিবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হবে। সে কথাই রাখলেন তিনি। বিকেলে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছেই বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করা ৮ জনকে পুরস্কৃত করলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল সরকারি শংসাপত্র। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হবে।

রবিবার দুপুর উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে একটা রিভিউ মিটিং করতে হবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’

উত্তরবঙ্গে এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। এত ক্ষতি, প্রাণহানি। কেন্দ্র কি সাহায্য ঘোষণা করেছে?  এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রের সাহায্যের আশায় বসে থাকি না। আমাদের যা সামর্থ্য, তা দিয়েই মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছি। এখানকার বিপর্যয়ে মোকাবিলায় আগেই নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রচুর রাস্তা, সেতু ভেঙে গিয়েছে। সেইসব সারানোর কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব সব ঠিক করে দেওয়া হবে। রোহিনীতে কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হতে ৫, ৬ দিন লাগবে। তবে মিরিকে ভেঙে পড়া ব্রিজ মেরামতিতে ৭,৮ দিন সময় লাগবে। পাঙ্খাবাড়ি দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া যাচ্ছে।‘

রবিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আলিপুরদুয়ার পুনর্গঠনের কাজ নিয়ে এদিনই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক সারেন মমতা। এরপরই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে দেওয়া হয় সরকারি শংসাপত্র।‘যোদ্ধা’বলে তাঁদের সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আটজনের মধ্যে ৩ জন জেলা বিপর্যয় মোকাবিলার দলের সদস্য। বাকি ৫ জন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মী। আরও তিনজনকে সরকার পুরস্কার দেবে বলে সূত্রের খবর। যাঁরাই বিপর্যয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁদেরই সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁদের পুরস্কৃত করবেন বলে খবর।