পদত্যাগ করলেন চন্দননগরের সিপি ড. হুমায়ুন কবীর। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানাে ইস্তফাপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই পদত্যাগ করেছেন হুমায়ুন কবীর । কিন্তু তার এই ইস্তফাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ কর্মজীবন থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যােগ দেন কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। কারণ মাস দুয়েক আগেই শাসক দলে যােগ দিছেন ড. হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস।
হুমায়ুনের জায়গায় দায়িত্ব নিচ্ছেন গৌরব শর্মা। শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেবেন গৌরব শর্মা। কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে হুমায়ুন কবীরকে।
Advertisement
২০০৩ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর। তিনি যেমন সাহিত্য চর্চাতে পারদর্শী, তেমনই দুষ্কৃতী দমনেও। জানা গিয়েছে, তিনি ২০১৮ সালে একটি সিনেমাও পরিচালনা করেছিলেন। একদা ত্রাস হাতকাটা দিলীপকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে গ্রেফতার করার পরই তিনি আলাের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন।
Advertisement
এককালে তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। বহু বাহুবলীকে জব্দ করার রেকর্ড তার ঝুলিতে রয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের পুলিশসুপার থাকাকালীন তিনি একটি ধর্ষণের মামলা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযােগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে এই দুদে পুলিশ কর্তাকে বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) পদে বদলি করা হয়। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি কলকাতা পুলিশে যুগ্ম কমিশনার (প্রশাসন) পদে যােগ দেন। তারপরই তিনি যােগ দেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হিসেবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতেও তিনি উপন্যাস ও লেখালেখি করেন ।
Advertisement



