• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

বন্ধ কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা, বিপাকে একাধিক পৌরসভা

বন্ধ হয়ে যেতে পারে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজ। কারণ নির্বাচিত কোনো পুরবোর্ড নেই, এই কারণে রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় কেন্দ্রীয় তহবিল বরাদ্দ বন্ধ।

বিপাকে বাংলার একাধিক পৌরসভা। বন্ধ হয়ে যেতে পারে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজ। কারণ নির্বাচিত কোনো পুরবোর্ড নেই, এই কারণে রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় কেন্দ্রীয় তহবিল (এনক্যাপ) বরাদ্দ বন্ধ। এই ফান্ডের টাকায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কাজ করা হয়। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বসানো হয়। যেসব রাস্তা (মোরাম বা ঢালাই) থেকে ধুলো ওড়ে, সেই সব রাস্তা সংস্কার বা পিচরাস্তা করা যায় ওই কেন্দ্রীয় ফান্ড থেকে। ‘এনক্যাপ’ ফান্ড (ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম বা জাতীয় বায়ু পরিষ্কার কর্মসূচি) বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দূষণ সংক্রন্ত সব উন্নয়নের সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে পুর আধিকারিকদের। ক্ষতিগ্রস্থ পুরসভা গুলি হলো – দুর্গাপুর, পাঁশকুড়া, হাওড়া, সাঁইথিয়া, চন্দননগর, হলদিয়া, ঝালদা, পানিহাটি, চাঁপদানি, এগরা, বেলডাঙা, কুপার্স ক্যাম্প, দার্জিলিং, তাহেরপুর।

দুর্গাপুর নগর নিগমে ২০১৭ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকাও আসছে না। এবার বন্ধ হলো এনক্যাপ ফান্ডের টাকাও। প্রশাসক বোর্ডের মাথায় হাত কারণ বর্তমানে দুর্গাপুর নগর নিগমের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি ছোট বড় রাস্তার কাজ চলছে ফান্ড না থাকায় কাজ এগনো সম্ভব হবে কি করে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রশাসনিক বোর্ড।

দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা নগর ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকে মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি যেসব পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হয়নি সেগুলিতে আর এনক্যাপ থেকে কোনও ফান্ড দেওয়া হবে না। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। এই ফান্ড বন্ধে উন্নয়নের কাজে চরম সমস্যায় পড়তে হবে। রাস্তাঘাট তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। পর্যাপ্ত ফান্ড না এলে আমাদের ফান্ড বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কীভাবে উন্নয়নের কাজ গুলি করা যায়, তা নিয়েও আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা কখনও ৮ কোটি, কখনও ১০ কোটি, কখনও ১৫ কোটি টাকার ফান্ড পেয়েছি। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে কোনও ফান্ড পাইনি। শেষবার এনক্যাপ ফান্ডে ৪৪ কোটি টাকা এসেছিল। সেই ফান্ডের মাধ্যমে প্রচুর কাজ করেছি। এখন সেই ফান্ডের টাকাও শেষ।”