• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

‘অবৈধ’ প্রেমিকাকে যৌন নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগ ক্যানিং-এ, পলাতক অভিযুক্ত

মৃতদেহ থেকে গয়না চুরির অভিযোগও আনা হয় পরিবারের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে লজের মালিকের বিরুদ্ধে মধুচক্র চালাবার অভিযোগও উঠেছে।

ঘটনাস্থলে তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা। সংগৃহীত চিত্র।

লজে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ক্যানিং অঞ্চলে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। যদিও, অভিযুক্ত এখনও পলাতক বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্র মারফৎ খবর, মৃতা আমিনা মোল্লা (৪৭)-র বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং মহকুমার দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত গোবরামারীতে। স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রতিবেশী মহসীন মোল্লার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গত শুক্রবার দুপুরে মহসীন মৃতার সঙ্গে ক্যানিং বাজার অঞ্চলের একটি লজে গিয়ে ওঠেন। কিছুক্ষণ পরেই মহসীন লজের কর্মচারীদের জানান, তাঁর সঙ্গী আমিনা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কর্মচারীদের সহায়তায় তিনি আমিনাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যান। ওই চিকিৎসক আমিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে মহসীন চেম্বার ছেড়ে পালিয়ে যান। পুলিশে খবর দেন ওই চিকিৎসক। মৃতার দাদার দাবি, তাঁর বোন আমিনাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন মহসীন। এমনকী, মৃতদেহ থেকে গয়না চুরির অভিযোগও আনা হয় পরিবারের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে লজের মালিকের বিরুদ্ধে মধুচক্র চালাবার অভিযোগও উঠেছে।

ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ এবং ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল।

ওই লজের এক কর্মচারীর বক্তব্য, ‘এখানে আসার কিছুক্ষণ পরে ওই ব্যক্তি আমাদের জানায় মহিলার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমরা গিয়ে দেখি মহিলা প্রায় অজ্ঞান হয়ে রয়েছেন। আমাদের সাহায্য চাওয়া হয়। ওই ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় এক ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায়।’

মৃতার পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘আমিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক ছিল মহসীন মোল্লার। ও লজে নিয়ে গিয়ে আমিনাকে খুন করেছে।’

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশি তদন্ত চলছে। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।