শিয়ালদহে ‘বোমাবাজি’ কংগ্রেসের, জখম ২, আক্রান্ত বাম প্রার্থী

জখম দীপুর দাবি, রবিবার সকালে টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে সিগারেট কিনতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বোমাবাজির মাঝে পড়েন। গুরুতর জখম হন তিনি।

Written by SNS Kolkata | December 20, 2021 3:14 am

প্রতীকী ছবি (Photo:SNS)

কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে দফায় দফায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। টাকি বয়েজ হাইস্কলের সামনে বোমাবাজিতে জখম দু’জন। জখম ব্যক্তি ভরতি হাসপাতালে।

রবিবার সকাল থেকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে চললেও তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছুটা হলেও বদলে যায় ছবি। শিয়ালদহের টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজি শুরু হয়।

বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন দীপু দাস নামে এক ব্যক্তি-সহ দু’জন। বোমাবাজিতে পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন দীপু। তিনি বর্তমানে ভরতি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, দীপু কাশিমবাজার রোডের বাসিন্দা। তিনি পেশায় গাড়িচালক।

জখম দীপুর দাবি, রবিবার সকালে টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে সিগারেট কিনতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বোমাবাজির মাঝে পড়েন। গুরুতর জখম হন তিনি।

টাকি বয়েজ হাইস্কুলের পাশাপাশি খান্না হাইস্কুলের সামনেও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক তরজা।

৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শচীন সিংয়ের অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা টাকি বয়েজ হাইস্কুলের সামনে পরপর দু’টি বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। তাতেই দীপু-সহ জন জখম হন। খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজির ঘটনাতেও কাঠগড়ায় কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগও একইরকম।

তাঁর দাবি, যারা বুঝতে পারছেন ভোটের লড়াইয়ে জিততে পারবেন না, তাঁরাই এ কাজ করছেন। যদিও কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দাবি, বোমাবাজির সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। বোমাবাজির পর ঘটনাস্থলে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এই ঘটনায় ডিসি ইএসডি প্রিয়ব্রত রায় জানান, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার দুরে বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। তাই তার ফলে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি। কে বা কারা একাজ করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বোমাবাজির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। পুরভোট চলাকালীন ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের বামপ্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খানের উপর হামলার অভিযোগ উঠল।

এদিন দুপুরে বিধ্বস্ত অবস্থাতে ফৈয়াজ খানকে রাস্তায় বসে থাকতে দেখা যায়। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাতে। ফৈয়াজ খানের অভিযোগ, তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁকে মারধোর করা হয়েছে।

ফৈয়াজের অভিযোগ মারের চোটে তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। হামলার ফলে পায়েও চোট লাগে তার। তিনি পালিয়ে গাড়িতে উঠতে গেলেও তাকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়। ঘটনাতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।