• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শহিদ ঝন্টু আলিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতার

পহেলগামের ঘটনার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশকে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে। এর জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রতীকী চিত্র

জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই নিয়ে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি একটি অডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান) ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নদিয়ার বিজেপি নেতা অর্জুন বিশ্বাসকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ওখানে একটা ভোটও পাওয়া যাবে না।’ এই অডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।

গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের আবহের মধ্যে জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। তিনি নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা। গত শনিবার তাঁর দেহ বাড়িতে এসে পৌঁছলে তাঁকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। সেই সময় তাঁর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। এরপর বিতর্কিত অডিওটি ভাইরাল হয়। অডিওতে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস দলেরই এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে ওই কর্মী শহিদ জওয়ানের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলছিলেন। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে অর্জুন বলেন, ‘একজন মুসলিম মারা গিয়েছেন। ওখানে একটা ভোটও পাওয়া যাবে না। এখন ভোটের রাজনীতি দেখতে হবে।’ এরপরই বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও অভিযুক্ত বিজেপি নেতার দাবি, তিনি ওই জওয়ানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাই এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।

Advertisement

পহেলগামের ঘটনার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশকে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে। এর জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের দাবি, যে সেনা জওয়ান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁকেও ছাড়া হচ্ছে না। সেই মৃত্যুতেও লেগেছে সাম্প্রদায়িক রঙ। সেখানেও বিজেপি ভোটের রাজনীতি দেখছেন। এই পরিস্থিতিতেও কীভাবে বিজেপি নেতা এ রকম কথা বলতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল মুখপাত্র দেবাশিস রায় অর্জুনকে ধিক্কার জানিয়েছেন। দেবাশিস বলেন, ‘একজন জওয়ান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সেখানে কোনও জাতিভেদ, ভোটের রাজনীতি থাকতে পারে না।’

Advertisement

Advertisement