রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী হুমকি ফোনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক। ধৃতের নাম ওয়াসিম আক্রম। সে কালিয়াচক থানার মসিনপুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, যে সিম ব্যবহার করে সাহাদাত কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে হুমকি দিয়েছিল, তা সরবরাহ করে এই ওয়াসিমই। শনিবার হুমকির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাহাদাত শেখকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সাহাদাত জমি সংক্রান্ত ব্যবসায় বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছিল। দ্রুত টাকা রোজগারের চেষ্টায় ছিল সে। সেই জন্যই অসৎ পথ বেছে নেয় সাহাদাত। হুমকি ফোন করে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে। এই কাজে বেশ কয়েকজন তাকে সাহায্য করেছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা। এদিকে সাহাদাতের মা অবশ্য দাবি করেছেন, ছেলে নির্দোষ। সে কলকাতা গিয়েছিল চিকিৎসা করাতে।
গত শুক্রবার একটি হুমকি ফোন পান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ফোনে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ২০ কোটি টাকা না দিলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করা হবে। নিজেদের ডি-কোম্পানি বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করে হুমকিদাতা। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। তারপর ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু।
সূত্রের খবর, প্রথমে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের ফোনে। সেই মেসেজে প্রেরক নিজেকে ‘ডি কোম্পানি’র কর্মী প্রদীপ বলে পরিচয় দেয়। প্রথমে মেসেজের মাধ্যমেই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে চাওয়া হয় ২০ লক্ষ টাকা। বার্তায় বলা হয়, ‘২০ পেটি দেনা হোগা আপকো, নেহি তো তুম অর তুমহারি ফ্যামিলি মেম্বার কো টোক দেঙ্গে।’ অর্থাৎ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির ঘটনার পর বাড়ানো হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তাও।