সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাব শুরু হতেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে বুধবার বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। কলকাতা সহ শহরতলির অধিকাংশ এলাকারই একই অবস্থা।
এদিন নবান্নে কন্ট্রোল রুমে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখানে ঝড়ের প্রভাব বাড়বে বা তীব্র হওয়ার সম্ভান্না হয়েছে সেইসব জায়গায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এরপরেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়ার শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
তবে হাসপাতালসহ জরুরি পরিষেবার জায়গাগুলি যাতে বিদ্যুৎবিহীন না হয়ে যায় সেদিকটাও মাথায় রাখা হয়েছে। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখা হয়েছে, বিশেষ করে যেসব হাসপাতালে করোনা রোগীরা রয়েছেন। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকা তো বটেই, সিইএসসি এলাকাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা যথেষ্টই খারাপ। গাছ, সিগন্যাল পোস্ট, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
এদিন দুপুর থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আশঙ্কা একটাই, বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হতে ঠিক কতটা সময় লাগবে। বড় কোনও ক্ষতি না হলে ঝড় কমলেই বিদ্যুৎ ফিরে আসার সম্ভাবনা। তা না হলে গ্রামাঞ্চল ও উপকূলবর্তী এলাকায় কয়েকদিন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার সম্ভাবনা।
Advertisement



