রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

লােকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘােষণা হওয়ার পর কলকাতা বিধাননগরের নগরপালরা তাঁদের পদ ফিরে পেলেন, কিন্তু ফিরলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য।

Written by SNS Kolkata | May 28, 2019 1:01 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

লােকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘােষণা হওয়ার পর কলকাতা বিধাননগরের নগরপালরা তাঁদের পদ ফিরে পেলেন, কিন্তু ফিরলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য।

সােমবার নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বেছে নেওয়া হল। সেই সঙ্গে তিনি শিল্প সচিবের পদও সামলাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লােকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র সচিবের পদ থেকে অপসারিত করেছিল অত্রি ভট্টাচার্যকে তার দায়িত্ব সামলাতে দেওয়া হয়েছিল মুখ্য সচিব মলয় দে ’ কে । ভােটপর্বে একাধিক পুলিশ কর্তা ও আমলাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

নির্বাচনী বিধি উঠতেই যাঁদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে ফেরানাে হল না।

সত্যি বলতে কী, নির্বাচনের আগে যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তারই ফলশ্রুতি নির্বাচনে তৃণমূলের মুখ থুবড়ে পড়া। এছাড়া নির্বাচনের সময় ভাটপাড়া এবং বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি ঠেকাতেও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

পুলিশের এই অপারগতা এবং বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির খবরাখবর না থাকার দায়িত্ব গিয়ে পড়ে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের ওপর। ফলে তাঁর পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রসচিব পদের দায়িত্ব দেওয়া হল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

প্রসঙ্গত অত্রি ভট্টাচার্যকে যখন স্বরাষ্ট্রসচিব করা হয় , তখন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পরিবহন দফতরের সচিব। তখনই তার স্বরাষ্ট্রসচিব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলাপন বাদ দিয়ে সিনিয়ারিটিতে অনেক নবীন অত্রি ভট্টাচার্যকে সেই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সােমবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা৬র প্রত্যাশার পদে নিয়ে আসা হয়।

সেইসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়ে আসা হয় সৌরভ দাসকে । কারণ এই পদে থাকা অমরেন্দ্রনাথ সিং – এর অবসরের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ।

লােকসভা নির্বাচনের পর সােমবারই নবান্নে গিয়ে প্রশাসনিক স্তরে বদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দশ জেলার জেলাশাসক বদল করলেন তিনি। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলগানাথনকে করা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওকে দেওয়া হয়েছে হুগলির দায়িত্বে। আবার হুগলিরত জেলাশাসক জে পি মীনাকে পাঠানাে হয়েছে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক করে।

হাওড়ার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীকে করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। বাঁকুড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্যকে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার দায়িত্বে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের যুগ্ম সচিব উমা শঙ্করকে করা হয়েছে বাঁকুড়ার জেলাশাসক।

নির্বাচনবিধি উঠে যেতে না যেতেই রাজ্য পুলিশে বড়সড় রদবদল করা হল । বিধাননগরে পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে রাজ্য পুলিশের এডিজি ও আইজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে সরানাে হল জ্ঞানবন্ত সিংকে।

অন্যদিকে ডিআই সিআইডি (অপারেশন) থেকে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার পদে স্থানান্তরিত হলেন নিশাত পারভেজ। এডিজি এস্টাবলিশমেন্ট থেকে ডিরেক্টরেট অফ ইকনমিক অফেন্স উইংসের ডিরেক্টর পদে ফিরছেন জয়ন্তকুমার বাসু।

এছাড়া এডিজি ও আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) থেকে এডিজি এস্টাবলিশমেন্ট পদে স্থানান্তরিত হলেন সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। এর সঙ্গেই মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বারাকপুর, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া সহ সিআইডি তে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার একাধিক আধিকারিক পদেও রদবদল হয়েছে।