নিজস্ব প্রতিনিধি বিজেপির অভিযােগ যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নাকের গােড়ায় এত বড় কেলেঙ্কারি হল কী করে? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইট করে তিনি বলেন, কয়লা সংক্রান্ত সমস্ত সম্পত্তি সরাসরি কেন্দ্রের অধীনে থাকে। যদি বিজেপি মনে করে, বেআইনিভাবে কয়লা খনি থেকে টাকা পেয়েছে, তাহলে কেন্দ্র এর তদন্ত করছে না কেন? যারা কেন্দ্রীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তাঁদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না?
আর বিজেপি যদি মনে করে, কয়লা মন্ত্রকের আধিকারিকরা মােদি-শাহ বা কয়লা মন্ত্রকের কথা না শুনে তৃণমূল নেতাদের কথা শুনেছে, তাহলে এর থেকে হাস্যকর হতে পারে না। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কেলেঙ্কারির যে অভিযােগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতাদের দোষারােপ করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে কয়লামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, কয়লা ইসিএলের সম্পত্তি।
কয়লা খনির নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফের। তাহলে কী করে এই কেলেঙ্কারি হল? সিআইএসএফ কি তাহলে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কথা শুনছিল? সেটা যদি হয়, তাহলে তাে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
প্রশ্ন তুলে বলেন, তদন্তের রেকর্ড কীভাবে ফাঁস হল? বিজেপি নেতারা কীভাবে সেই অডিও রেকর্ড নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন? সিবিআই ফাঁসাচ্ছে না তাে? সেইরহস্য উদঘাটনে দলের তরফে ফৌজদারি মামলা করা হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযােগ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অভিযােগ ছিল, কয়লা দুর্নীতির টাকা সরাসরি যেত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সাংসদ হওয়ার পরই এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই কেলেঙ্কারির ৯০০ কোটি টাকা গিয়েছে ভাইপাের কাছে। ১০ বছর ধরে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর মদতে কয়লা দুর্নীতি হয়েছে। ৯০ থেকে ৯৫ জন পুলিশ আধিকারিক এর সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসারও এর সঙ্গে জড়িত।
