আহিরিটোলায় ভেঙে পড়ল বাড়ি, এক বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু

একটানা বৃষ্টিতে বুধবার সকালে আহিরিটোলা স্ট্রিটের একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেই ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।

Written by SNS Kolkata | September 30, 2021 12:31 pm

একটানা বৃষ্টিতে বুধবার সকালে আহিরিটোলা স্ট্রিটের একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেই ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। যদিও এই ঘটনাতে এক বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এদিন আহিরিটোলা লেনে ভাের বেলা দীর্ঘদিনের পুরানাে জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে পড়ে। বাড়ি ভেঙে পড়ার প্রচণ্ড শব্দে স্থানীয়রা এসে দেখতে পান ওই দোতলা পুরনাে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এবং যে পরিবার গুলি সেই বাড়িতেই থাকতেন তারাও আটকে পড়েছে ভাঙা বাড়ির ধ্বংস স্তূপে।

খবর যায় পুলিশে এবং দমকলে। উদ্ধার কার্যে নামে স্থানীয় পুলিশ এবং দমকলের বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনী ঘণ্টা সাতেকের প্রচেষ্টাতে একে একে উদ্ধার করা হয় ওই বাড়ির নজন বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে ছিল তিন বছর বয়সী এক শিশু এবং তার ঠাকুমা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। উদ্ধার হওয়ার পর শিশুকে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শিশু ও তার ঠাকুমাকে বাঁচান যায়নি।

এই পরিবারের আরাে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় এক শিশু খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক শশী পাঁজা। যদিও পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের দাবি, পুরসভার সতর্কতা আছে শুনলে আহিরীটোলায় এমন ঘটনা ঘটতই না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফিরহাদ হাকিম জানান, ভেঙে পড়া বাড়িটাকে আগেই বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। নােটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই নােটিস ছিড়ে ফেলে দেয় পুরসভার কর্মীরা। বার বার বাসিন্দাদের বলেছেন। তবে তারা উঠতে চাননি।

ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নােটিস পাওয়ার পর বসবাসকারীরা উঠে গেলে এমন বিপত্তি ঘটত না। এরপর উদ্ধার কাজ শেষ হলে ওই জীর্ণ দোতলা বাড়িটিকে ভাঙার কাজ শুরু করে পুরসভা।

পুরসভার তরফ থেকে জানান হয়েছে, বাড়ির বসবাসকারীদের প্রাথমিক ভাবে ত্রিপল সরবরাহ করা হবে। জানা গিয়েছে মােট চারটি পরিবার থাকত এই জীর্ণ দোতলা বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে ওই বাড়ির মালিক ও ভাড়াটেদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।

যার ফলে বহু দিন ধরে ওই বাড়ির মালিক বাড়িটির সংস্কারের কোনও কাজই করেননি। যার ফলে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। পুর প্রশাসকরাও দাবি করছেন, অনেক সময় বিপজ্জনক বাড়িগুলির সংস্কারের কাজ থমকে থাকছে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের অশান্তির ফলে।