চোপড়ায় আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গোটা গ্রাম শুনশান রয়েছে। পলাতক আসামি মুজিবুর রহমানের বাড়ির সদস্যরাও বাড়ি ছেড়েছেন। এলাকায় দোকানপাটও তেমন খোলেনি। অনেক কম ব্যবসায়ী হাটে এসেছেন। মুদিখানা থেকে মিষ্টির দোকানও এমনকী বন্ধ অনেক ওষুধের দোকানও। শনিবারের ঘটনায় প্রথমে ২৭ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গভীর রাতের দিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামির খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত মুজিবর ভিনরাজ্যে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
শনিবার রাতে চোপড়ার চুটিয়াখোর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনলা বন্দুক, তির-ধনুক উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র পাচারের অভিযোগ রয়েছে মুজিবুরের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখে পড়ে পুলিশ। মুজিবুর রহমানকে গাড়িতে তুলতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলাও চালান বিক্ষুব্ধরা। সেই সুযোগ কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। তারা অভিযুক্তকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ছিনতাইকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
এই ছিনতাই নিয়ে অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই দেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান। তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের প্রাক্তন এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের কাছে কোনও বৈধ পরোয়ানা ছিল না। মুজিবুরের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই। তারপরেও তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই গ্রামবাসীরা পরোয়ানা দেখতে চান। কিন্তু পুলিশ দেখাতে পারেনি। ওই কারণেই গ্রামবাসীরা বাধা দেন। মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যেতে এখন পুলিশ গোটা গ্রামকে ফাঁকা করে দিয়েছে। অত্যাচার চালাচ্ছে। দোকানপাট ভাঙচুর করেছে।’
Advertisement
Advertisement



