আর বছর খানেকের অপেক্ষা, তারপরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় কর্মী সম্মেলন শুরু করে দিয়েছেন শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরেও যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলায় শক্তি বাড়াল তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরে সিপিএম ও বিজেপি ছেড়ে প্রায় ১৮৫টি পরিবারের কয়েকশো জন যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের জামার হাটখোলা এলাকায় তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সহ অন্য নেতৃত্বরা। এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। দলবদলকারীরা জানিয়েছেন, রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রও একই মন্তব্য করেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এত বিপুল সংখ্যক বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেওয়ায় দল এলাকায় শক্তিশালী হল। এর ফলে বিধানসভায় ভালো ফল হবে দলের। অন্যদিকে সিপিএমের বক্তব্য, বেশ কিছু কর্মী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমকে ভোট দিয়েছিলেন। এর ফলে একটি বুথে সিপিএম জেতে। ওই সদস্য বেশ কিছু অনুগামীকে নিয়ে দলবদল করেন। সিপিএমের অন্য কোনও কর্মী, সদস্য অনুষ্ঠানে যায়নি। যাঁরা যোগদান করেছে, তাঁরা তৃণমূলেই ছিল। তৃণমূল থেকেই তৃণমূলে যোগদান করেছে বেশ কিছু মানুষ। এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। অন্যদিকে বিজেপির কটাক্ষ, নিজেদের পদ বাঁচাতে যোগদান কর্মসূচির নাটক করছেন তৃণমূলের নেতারা। দলবদলকারী হিসেবে যাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাঁরা সবাই তৃণমূলেই ছিলেন।