• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফের পিছোল পার্থর জামিন মামলা

ফের পিছোল পার্থর জামিন মামলা, ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি। 

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় এ বার ইডির কাছে হলফনামা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জল ভূয়ানের বেঞ্চে ওঠে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলা।  জবাবি হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চায় ইডি। এর জেরে এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি।

বৃহস্পতিবারও প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। আইনজীবী এসভি রাজু ইডির হয়ে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, এটি একটি বড় দুর্নীতির মামলা। এরপরেই আদালত ইডির কাছে হলফনামা চায়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও অভিযান চালায় ইডি। টালিগঞ্জের আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পরে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার হয়। মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। ওই মামলায় জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই শুনানিতেই বৃহস্পতিবার ইডির আইনজীবী এসভি রাজু এই জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য জানান।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। ইডি এবং সিবিআই – দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে বহু বার পার্থ জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। এর আগে ইডির মামলায় জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন পার্থ। জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। গত এপ্রিলে শুনানির পর বিচারপতি জামিনের আবেদন খারিজ করেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের দায়ের করা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানির পর রায়দান স্থগিত হয়ে যায় । পুজোর ছুটির পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আদালত খুললে পার্থদের মামলায় রায় দিতে পারে হাই কোর্ট।
হাইকোর্টে বহু জলঘোলা হওয়ার পর জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। এরপরই সব পক্ষকে নোটিশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহতগি আগেই দাবি করেছিলেন, পার্থর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তাতে সর্বোচ্চ সাজা সাতবছর। ইতিমধ্যেই দুই বছরের বেশি জেলে রয়েছেন পার্থ। প্রসঙ্গত গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

Advertisement

Advertisement