• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দোরগোড়ায় পৌঁছেও জয়ের হাসি হাসতে পারল না বাংলা

জয়ের জন্য উত্তরপ্রদেশের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৭৪। তার পরই আঘাত হানেন মুকেশ এবং কাইফ। ৭৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট চলে যাওয়ায় জয় প্রায় হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল বাংলার।

জয়ের আশা দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেট অভিযানের শুরুতেই ধাক্কা খেতে হল বাংলাকে। অভিমন্যু ঈশ্বরণের শতরান ও মুকেশ কুমারের দুরন্ত বোলিংয়েও উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে জয় অধরা থেকে গেল বাংলার। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি অমীমাংশিত ভাবে শেষ হল।

উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির চতুর্থ দিনের প্রথম দুটি সেশনের পর জয়ের দিকে বড় পদক্ষেপ রেখেছিল বাংলা দল। কিন্তু শেষ বেলায় জ্বলে উঠলেন উত্তরপ্রদেশের প্রিয়ম গর্গ। মুকেশ কুমার-মহম্মদ কাইফদের বোলিং আক্রমণ সামলে শতরান করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। বাংলার প্রায় জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত বাংলা ড্রয়ের মুখ দেখল। তবে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সৌজন্যে ৩ পয়েন্ট ঘরে আনলেন অনুষ্টুপ মজুমদাররা।

Advertisement

তবে রঞ্জি ট্রফির এই ম্যাচে ছিল বাংলা বনাম উত্তরপ্রদেশের উত্থানপতনে ভরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন যশ দয়ালরা। কিন্তু তৃতীয় দিনে মুকেশ ও শাহবাজদের বোলিংয়ে দ্রুত থেমে যায় উত্তরপ্রদেশের ইনিংস। ১৯ রানে এগিয়ে ছিল বাংলা। ব্যাটিংয়ে নজর কাড়ে বাংলা। শতরান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। দলীপ-ইরানি মিলিয়ে টানা চারটি ম্যাচে শতরান করলেন অভিমন্যু। অল্পের জন্য শতরান থেকে ছিটকে গেলেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৯৩ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ করে ডিক্লেয়ার করে দেয় বাংলা।

Advertisement

জয়ের জন্য উত্তরপ্রদেশের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৭৪। তার পরই আঘাত হানেন মুকেশ এবং কাইফ। ৭৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট চলে যাওয়ায় জয় প্রায় হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল বাংলার। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন প্রিয়ম। উত্তরপ্রদেশের স্বস্তিক চিকারার ১২ রান ছাড়া কেউই দুই সংখ্যার রানে পৌঁছাতে পারেননি। তার মধ্যেও ‘একা কুম্ভ’ হয়ে বাংলার থেকে জয়ের ৫ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিলেন প্রিয়ম। ম্যাচের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে উত্তরপ্রদেশের রান ছিল ১৬২। তার মধ্যে একা প্রিয়মই ১০৫ রান করে বাংলাকে জয়ের হাসি হাসতে দেননি। বাংলাকে পরের ম্যাচ খেলতে হবে ইডেন উদ্যানে বিহারের বিরুদ্ধে।

Advertisement