• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

রাতারাতি জারি একাধিক নির্দেশিকা, কড়া পদক্ষেপ পুলিশের

এবার থেকে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। তাছাড়া, সাইবার ক্যাফেগুলির ক্ষেত্রে সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না এবং প্রতিটি ব্যবহারকারীর তথ্য সঠিকভাবে রেকর্ড রাখতে হবে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শহরজুড়ে প্রতিদিন চলছে মিছিল। এই মিছিল ঘিরে শহরের অশান্তির আশঙ্কা করছে লালবাজার। উৎসবের মরসুমে যাতে কোনও অশান্তি না ঘটে, সেই জন্য এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করল সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা।

শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। যেসব রাস্তায় এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে, সেগুলি হল খিদিরপুর ক্লাব থেকে বিধান মার্কেট, প্রেস ক্লাবের আশপাশের এলাকা, নিউ রোড ও মেয়ো রোড ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ফেয়ারলি প্লেস, ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড রোড, শহিদ ক্ষুদিরাম বসু সরণি, ডালহৌসি এবং লালবাজারের আশেপাশের অঞ্চল। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এসব এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা তিনটি নির্দেশিকা জারি করেছেন।

Advertisement

ভাড়াটিয়া ও সাইবার ক্যাফে সম্পর্কিত নির্দেশিকা:
কলকাতার প্রতিটি বাড়ির মালিককে তাদের ভাড়াটিয়া বা পেয়িং গেস্ট সম্পর্কে থানায় তথ্য জমা দিতে হবে। বহুদিন ধরেই এই নিয়ম চালু থাকলেও বেশিরভাগ বাড়ির মালিক তা মানেন না বলে অভিযোগ। পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট জানিয়েছেন, এবার থেকে কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। তাছাড়া, সাইবার ক্যাফেগুলির ক্ষেত্রে সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না এবং প্রতিটি ব্যবহারকারীর তথ্য সঠিকভাবে রেকর্ড রাখতে হবে। সন্দেহজনক কোনো কার্যকলাপ দেখলে দ্রুত থানায় জানাতে হবে।

Advertisement

বর্জ্য পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা:
শহরে বায়ু দূষণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। রাস্তার ধারে যেখানে-সেখানে বর্জ্য পোড়ানোর ফলে এই দূষণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে বর্জ্য পোড়ানো বেআইনি, তবুও অনেকেই নিয়ম ভেঙে তা করে চলেছেন। শীতকালে এই প্রবণতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা পুরসভা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজার এবার কঠোর হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, সমস্ত থানাকে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধে তৎপর হতে হবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হলে শহরের নিরাপত্তা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে বড়সড় অগ্রগতি আশা করছে প্রশাসন। তবে এই পদক্ষেপগুলির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

Advertisement