• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

আরজি কর কাণ্ডের দিন কোথায় ছিলেন অভীক দে? খতিয়ে দেখছে সিবিআই

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের দিন অভীক দে'র গতিবিধি জানতে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের দিন অভীক দে’র গতিবিধি জানতে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ৯ আগস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ৮ ও ৯ আগস্ট অভীক দে কোথায় ছিলেন এবং কী করছিলেন সেসব তথ্য জানতে চাইছে সিবিআই আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই শিরোনামে এসেছে চিকিৎসক অভীক দে’র নাম। তিনি এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি ডিপার্টমেন্টের পিজিটি। এর আগে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রেডিওডায়াগনোসিস বিভাগের আরএমও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগ। দেহ উদ্ধারের দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট অভীক দে’কে ঘটনাস্থলে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এসএসকেএম মেডিক্যালের পিজিটি হয়ে তিনি সেদিন আরজি কর মেডিক্যালে কী করছিলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর অভীককে সাসপেন্ড করেছে।

Advertisement

আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তিনি বর্তমানে এই মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। এবার তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অভীক দে’র গতিবিধি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল সিবিআই।

Advertisement

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের আগের দিন অর্থাৎ ৮ আগস্ট থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে অনুপস্থিত অভীক দে। এই নিয়ে গত ৪ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছি‍লেন এসএসকেএম হাসপাতালের ডিন অভিজিৎ হাজরা। সম্প্রতি এই বিষয়টি সিবিআই আধিকারিকদের নজরে এসেছে। ৮ আগস্ট এবং ৯ আগস্ট অভীক দে কোথায় ছিলেন ? কী করছিলেন ? সেই বিষয়েই এবার জানতে চাইছে সিবিআই।

২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের সল্টলেকের অফিসে অভীক দে সহ আরও এক বহিষ্কৃত জুনিয়র ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী অফিসাররা। এর আগে বিরূপাক্ষ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। তিনিও সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আরজি করের ঘটনার আবহে অভীকের পাশাপাশি বিরূপাক্ষকেও সম্প্রতি সাসপেন্ড করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস দুজনের বিরুদ্ধেও মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ চালানো সহ হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁরা অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তারদের নানাভাবে বিব্রত করতেন বলে জানা গিয়েছে।

৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম মেডিক্যালের ডিনের পাঠানো চিঠি থেকে আরও জানা গিয়েছে, এত দিন নিজের কাজে অনুপস্থিত থাকার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেননি অভীক। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি। এমনকী নিয়মমাফিক এসএসকেএম হাসপাতালে রেজিস্ট্রেশনও করাননি তিনি।

Advertisement