আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন অভিনেতা মনোজ মিত্র। অবশ্য এখনও বিপদমুক্ত নন তিনি। চিকিৎসকরা সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে মনোজের ভাই সাহিত্যিক অমর মিত্র একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, চোখ মেলে তাকাচ্ছেন দাদা। ডাকলে হালকা সাড়াও দিচ্ছেন।
রবিবার রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা মনোজ মিত্রকে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, মনোজ মিত্রের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। হার্ট পাম্পের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্রিয়েটিনিন এবং সোডিয়াম-পটাশিয়াম সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি।
Advertisement
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেতার মেয়ে ময়ূরী মিত্র রবিবার বলেন, ‘হ্যাঁ, বাবার খুবই শরীর খারাপ। আশঙ্কাজনক অবস্থা। ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। আমরা এখনই হাসপাতাল থেকে ফিরলাম। আমার মা-ও অসুস্থ। উনি কথা বলতে পারেন না। মা ডিমেনশিয়ার রোগী। আমার কাকা ২০ দিন আগে গত হয়েছেন। সুতরাং খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, বাবার হার্ট একদমই কাজ করছে না। ওষুধ দিয়েছে সাপোর্টে আছে।’
Advertisement
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মনোজ মিত্র। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। পেশমেকার বসানোর পর কিছুটা সুস্থ হন অভিনেতা। কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িও ফিরে যান বছর-৮৬’র এই অভিনেতা।
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর অবিভক্ত সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। ১৯৫৭ সালে কলকাতার থিয়েটার শুরু করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে বড়পর্দায় পা দেন মনোজ। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে বিভিন্ন কলেজে দর্শন বিষয়েও শিক্ষকতা করেন।
সিরিয়াল, নাট্যমঞ্চের পাশাপাশি চুটিয়ে সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন মনোজ। তপন সিনহা, সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, বাসু চ্যাটার্জি, তরুণ মজুমদার, শক্তি সামন্ত, গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন মনোজ মিত্র।
Advertisement



