• facebook
  • twitter
Wednesday, 20 August, 2025

পাঁচথুপি উদয়নের ‘গন্ধজালে’

সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব, নির্দেশক, অভিনেতা মনোজ মিত্র। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার পাঁচথুপি উদয়ন মঞ্চস্থ করল তাঁর নাটক ‘গন্ধজালে’।

ফাইল ছবি

সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব, নির্দেশক, অভিনেতা মনোজ মিত্র। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার পাঁচথুপি উদয়ন মঞ্চস্থ করল তাঁর নাটক ‘গন্ধজালে’। যার সম্পাদনা ও প্রয়োগ ঘটান উজ্জ্বল সাহা। রাতের অন্ধকারে দৃষ্টিহীন শ্যালিকা পঙ্খীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় তাঁর জামাইবাবু তাপস। ঘটনাক্রমে দৃষ্টিহীন পঙ্খীর বিয়ে ঠিক হয় কাকদ্বীপের দৃষ্টিহীন যুবক নীলকণ্ঠের সঙ্গে। সেও ছিল দৃষ্টিহীন। তবে তাঁর আশ্চর্যজনক ক্ষমতা ছিল প্রখর ঘ্রাণশক্তির। গন্ধ শুঁকে সে সব কিছু বলে দিতে পারত।

নাটকের দৃশ্যে যার একাধিকবার প্রমাণ পাওয়া যায়। শারীরিক নির্যাতনের সময় পঙ্খী নির্যাতকের ছেঁড়া গেঞ্জির একটা টুকরো রেখে দেয়। বিয়ের রাতে পঙ্খী তাঁর স্বামী নীলকণ্ঠের হাতে গঞ্জির অংশ তুলে দেয়। প্রখর ঘ্রাণশক্তির অধিকারী নীলকণ্ঠ তা শুঁকে অপরাধীকে তা বুঝে যায়। বিয়ের পরের দিন বাড়ি ফেরার সময় সে গেঞ্জির ছেঁড়া অংশ পঙ্খীর জামাইবাবু তাপসের হাতে দিয়ে বলে ‘এটা রাখুন দাদা, এটা আপনার জিনিস।’ আলো আঁধারির খেলায় নাটক জমে ওঠে। সমাজে ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে সে পাশবিক প্রবৃত্তির মানুষের মুখ লুকিয়ে আছে তা নাটকটি দেখলে বোঝা যায়।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্চিতা সাহা (পঙ্খী), সোমনাথ চন্দ্র (নীলকণ্ঠ), শ্যামলী শী (পঙ্খীর দিদি কুন্তী), চরণ দাস (জামাইবাবু তাপস), মাধবেন্দ্র সিনহা (ফেলু ঠাকুর) সহ অদ্রিজা, অন্তরা, মৌশালী ও মিঠি।