• facebook
  • twitter
Tuesday, 16 December, 2025

হাতে চ্যানেল করার সময় কর্তব্যরত নার্সকে শ্লীলতাহানি রোগীর, গ্রেপ্তার

৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক–পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর সামনে আসতে তোলপাড় দেশ।

কর্তব্যরত নার্সকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক রোগীর বিরুদ্ধে। বীরভূম জেলার ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের উপযুক্ত শাস্তি ও হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে রবিবার সকালে স্থানীয় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাত দিন নির্বিশেষে সব সময় পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে এক যুবক অসুস্থ অবস্থায় ওই হাসপাতালে আসেন। জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওই যুবককে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে থাকেন কর্তব্যরত একজন নার্স। এরপর তাঁকে স্ট্রেচারে শুইয়ে হাতে চ্যানেল করতে যাওয়ার সময়ই নার্সকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ওই নার্স রোগীর হাতে চ্যানেল করতে গিয়েছিলেন। রোগী তখন তাঁর শ্লীলতাহানি করেন । আমরা সকলে দেখেছি।’

Advertisement

এই ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সকাল বা রাত কখনই হাসপাতালে পুলিশ থাকে না বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা । তাঁর কথায়, ‘ রাতে এক রোগীর হাতে চ্যানেল করার সময় সে আমার গায়ে হাত দেয়। গালিগালাজও করে। আমি এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একজন রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে কীভাবে এই সাহস পায়? ওই যুবকের বাড়ির লোকজনও সামনেই ছিল। কী ঘটেছে তা সকলে দেখেছে।’

Advertisement

৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক–পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার খবর সামনে আসতে তোলপাড় দেশ। ‘বিচার চাই’ দাবিতে পথে নেমেছে মানুষ। হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে তৎপরতা দেখিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আরি বলেন, ‘পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এখানে নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়টি আইসি নিজে দেখছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাতের সুরক্ষা আরও জোরদার হবে বলেই আশা করছি।’

Advertisement