সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের প্রচার করার জন্য তালিকাভুক্ত ইনফ্লুয়েন্সাররা পেতে পারেন প্রতি মাসে ৮ লক্ষ টাকা! এমনটাই হতে চলেছে উত্তর প্রদেশে। যোগী সরকার সম্প্রতি নিয়ে এল নয়া ডিজিটাল মাধ্যম নীতি, ২০২৪, যেখানে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নীতি অনুযায়ী ইনফ্লুয়েন্সার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যার ভিত্তি হচ্ছে সাবস্ক্রাইবার এবং ফলোয়ারসংখ্যা৷ এই নীতিতে এও জানানো হয়েছে, এই টাকা কেবলই ভিউ সংখ্যার হিসেবে দেওয়া হবে।
Advertisement
এই নীতি অনুযায়ী, কোনও কনটেন্ট, ভিডিও টুইট, পোস্ট, রিল যদি দেশবিরোধী, সমাজবিরোধী, অসংবেদী’ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার এবং আর্থিক অনুদান বন্ধ করা হবে। যদি সরকারি প্রকল্পকে কোনও ইনফ্লুয়েন্সার ঠিকভাবে তুলে না ধরে বা ভুল তথ্য ছড়ায়, তাহলেও তার বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।
Advertisement
কোনও ইনফ্লুয়েন্সারকে তথ্য দপ্তরের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য অন্তত দু’বছর ধরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করতে হবে। এছাড়াও, তাদের বা তাদের সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা নেই, এই মর্মে একটা অ্যাফিডেভিটও জমা দিতে হবে।
সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, এই নীতির আসল লক্ষ্য হল সামাজিক মাধ্যমের উপর নজরদারি করা এবং বাকস্বাধীনতার উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের ছড়ি ঘোরানো।
যদিও উত্তরপ্রদেশ সরকারের ইনফরমেশন ডাইরেক্টর জানান, এই নীতিতে শুধু আইনি ব্যবস্থাই নেওয়া হতে পারে, তাও যদি কোনও বিশেষ পোস্ট দেশবিরোধী, সমাজবিরোধী বা অপমানজনক হয়। শাস্তি দেওয়া বা নিয়ন্ত্রণ করা, কোনওটাই এই নীতির লক্ষ্য নয়।
Advertisement



