• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ইতিহাস গড়ে প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য হাইব্রিড রকেট উৎক্ষেপণ ভারতের

প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য হাইব্রিড রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। মোবাইল লঞ্চারের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

শুক্রবারই প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবসে পালন করেছে দেশবাসী। শনিবারই মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন নজির তৈরি করল ভারত। এদিন সকালে প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য হাইব্রিড রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। মোবাইল লঞ্চারের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।

শনিবার চেন্নাইয়ের তিরুভিদান্ধাই থেকে মার্টিন গ্রুপের সঙ্গে তামিলনাড়ুর স্টার্ট-আপ স্পেস জোন ইন্ডিয়ার তৈরি প্রথম পুনঃব্যবহারযোগ্য হাইব্রিড রকেট ‘আরএইচইউএমআই-১’ (রুমি-১/RHUMI-1) উৎক্ষেপণ করা হয়। তিনটি কিউব স্যাটেলাইট এবং ৫০টি পিকো স্যাটেলাইট বহন করছে এই রকেটটি।

Advertisement

এই উপগ্রহগুলি বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত গবেষণার উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করবে। রুমি রকেটে জেনেরিক ফুয়েল বেসড হাইব্রিড মোটর রয়েছে। রুমি ১০০% পাইরোটেকনিক-মুক্ত এবং ০% টিএনটি।

Advertisement

ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের (আইএসএসি) প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ মাইলস্বামী আন্নাদুরাইয়ের পরামর্শে স্পেস জোনের প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ মেগালিঙ্গমের নেতৃত্বে মিশন রুমি পরিচালিত হচ্ছে। মার্টিন গ্রুপের সহায়তায় তামিলনাড়ুর স্টার্ট আপ কোম্পানি স্পেস জোন ইন্ডিয়া এই রুমি-১ নামক হাইব্রিড রকেটটি মহাকাশে পাঠাল।

রুমি-১ Suborbital Trajectory-তে ঘোরাফেরা করবে। অন্যান্য রকেটের তুলনায় এর গতিবেগ তুলনামূলকভাবে কম। কক্ষপথ ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার ক্ষমতা থাকে না রুমি-১’এর। অবশ্য সাধারণ বিমানের চেয়ে এই ধরনের রকেটের গতিবেগ বেশি হয়। ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছোটে এটি। এই জাতীয় রকেটের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে এটি কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে নামিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

মেগালিঙ্গম জানান, এই রকেটের এয়ারফ্রেম তৈরিতে মূলত এয়ারফ্রেমে কার্বন ফাইবার, কাচের ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে। জ্বালানি হিসাবে নাইট্রাস অক্সাইড আর ওয়াক্স ফুয়েল সলিড ফুয়েল ব্যবহার করা হবে। নিজের ছেলে রুমেন্দ্রনের নামে রকেটের নাম রুমি-১ রাখা হয়েছে বলে জানান আনন্দ মেগালিঙ্গম।

স্পেস জোন ইন্ডিয়া (এসজেডআই) এয়ারোডাইনামিক নীতি, উপগ্রহ প্রযুক্তি, ড্রোন প্রযুক্তি এবং রকেট প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। বিভিন্ন বেসকারি গবেষবা প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জেনারেল ডিগ্রি কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের সাথে কাজ করে স্পেস জোন ইন্ডিয়া।

Advertisement