• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

 শেখ হাসিনার  কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

 প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য এবং জাতীয় সংসদের প্রাক্তন সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।  এইসঙ্গে হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমনকী আওয়ামি সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে।

ফাইল চিত্র

 প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য এবং জাতীয় সংসদের প্রাক্তন সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।  এইসঙ্গে হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমনকী আওয়ামি সাংসদদের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে।  এর ফলে নয়াদিল্লি-ঢাকা সমঝোতা অনুযায়ী হাসিনা এবং দেশত্যাগী অন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে আরও বলা হয়েছে কেউ যদি নতুন পাসপোর্ট পেতে চান, তবে পুরনো পাসপোর্ট ফেরত দিতে হবে আগে।

 
জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চলে এসেছিলেন হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতে রয়েছেন। ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ তিনি ভারতে রয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত এ দেশের নরেন্দ্র মোদি  সরকার কিছু জানায়নি।
 
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল। ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা অনুযায়ী কূটনৈতিক  বা সরকারি  পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন কোনও ভিসা ছাড়াই ভারতে অবস্থান করতে পারেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় তাঁর ভারতে অবস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
 
হাসিনার বোন রেহানার ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও কূটনৈতিক জটিলতা নেই। কারণ, তাঁর  ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে। এর ফলে তিনি সাধারণ ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’  অনুযায়ী কার্যত যত দিন খুশি ভারতে থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে বিচারের জন্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ইতিমধ্যেই ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার দল বিএনপি। সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাঁকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’’
 
এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ হাসিনাকে ‘প্রত্যর্পণের উদ্যোগ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারত-বাংলাদেশের ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী হাসিনা ভারতে থাকতে পারবেন বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন। হাসিনার জমানাতেই ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় দুই দেশের সরকারের মধ্যে এই সমঝোতা সই হয়েছিল।

Advertisement

Advertisement