ঢাকা: কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। সরকারি মতে, প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৭ জন। এই আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নিতে শুরু করার পরেই দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল হাসিনা সরকার। ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইলে উবে গিয়েছিল ইন্টারনেট। পরের দিন রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ব্রডব্যান্ডও। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব আটকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই থেকে ধাপে ধাপে ব্রডব্যান্ড চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেটের জন্য অপেক্ষা করতে হল আরও পাঁচটা দিন। এবার মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর অনুমতি দিল বাংলাদেশ সরকার। বিক্ষোভ আন্দোলন শুরুর ১০ দিন পরে রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টে থেকে ব্যবহারকারীদের মোবাইলে ফিরে এসেছে ইন্টারনেট সংযোগ। যদিও এখনও অচল রয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব সহ সোশ্যাল মিডিয়া। ৩১ জুলাইয়ের আগে সেগুলি চালুর সম্ভাবনা নেই।
রবিবার সকালে ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী জনায়েদ আহমেদ পলক জানান, সংযোগ স্বাভাবিক হলে প্রত্যেক গ্রাহক বিনামূল্যে পাঁচ জিবি করে ইন্টারনেট পাবেন। তিন দিন মিলবে এই বিশেষ সুবিধা। তবে কবে থেকে সোশ্যাল মিডিয়া চালু হবে? সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেন নি মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক সহ প্রতিটি প্ল্যাটফর্মকে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) নোটিস পাঠিয়েছে। ‘৩১ জুলাই এই সমস্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা ঢাকায় তাঁদের মতামত জানাবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব’।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



