প্রশান্ত দাস: কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে নিট দুর্নীতি একাধিক বিষয়ে বর্তমানে উত্তাল সংসদ। বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকযুদ্ধ শুরু হচ্ছে নবগঠিত এনডিএ সরকার এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যে। আর এই বাকযুদ্ধকেই কড়া হাতে দমনের ক্ষমতা রাখেন লোকসভার স্পিকার। বৃহস্পতিবার কিছু সময়ের জন্য লোকসভায় সেই গুরু দায়িত্ব পালন করেন তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কাকলি বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্থ বারের তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি তিনি লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার। বৃহস্পতিতে কিছু সময়ের জন্য লোকসভার স্পিকার পদে বসেন কাকলি। উত্তাল সংসদকে নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত এটি প্রথমবার নয়। কাকলি আগেও একাধিকবার লোকসভার স্পিকার পদে বসে সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। দলীয় পক্ষপাতদুষ্টতা দূরে সরিয়ে স্পিকারের চেয়ারে বসে নিরপেক্ষতার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। এবারও সেই রূপেই অবতীর্ণ হলেন সাংসদ কাকলি।
Advertisement
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ভাষায়, লোকসভা হল ‘গণতন্ত্রের মন্দির’। আর এই গণতন্ত্রের মন্দিরকে পরিচালনা করা নিতান্তই কঠিন কাজ। স্পিকারের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কাকলি ‘সুযোগ্য’। তিনি ২০০৯ সাল থেকে বাংলার অন্যতম বৃহৎ লোকসভা কেন্দ্র বারাসতের সুখ-দুঃখের সাথী। নিজ কেন্দ্রকে বছরের পর বছর ধরে ঢেলে সাজিয়েছেন। জনসাধারণের না বলা কথা তিনি সংসদে তুলে ধরেছেন। এক কথায়, নারী ক্ষমতায়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এবার লোকসভার স্পিকার পদে বসে বঙ্গীয় নারী ক্ষমতায়নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন তিনি। অশান্ত লোকসভাকে করলেন শান্ত।
Advertisement
উল্লেখ্য, বুধে অভিষেকের কড়া বক্তৃতার পর থেকেই উত্তাল সংসদ। সরকার বনাম বিরোধী লড়াই অব্যাহত। স্পিকার হিসেবে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
Advertisement



