• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

চেন্নাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য আসাদুল্লাকে

দক্ষিণ ভারত থেকে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

দক্ষিণ ভারত থেকে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল ধৃত সন্ত্রাসবাদী বলে জানতে পারেন এসটিএফ’র গােয়েন্দারা। চেন্নাই থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) শুভঙ্কর সিনহা সরকার।

এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃত জেএমবি জঙ্গি আসাদুল্লা শেখ ওরফে রাজা পশ্চিম বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা। বছর ৩৫-এর রাজা ভারতে সংগঠিত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের একাধিক নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য এই যুবককে গ্রেফতার করা এক বড়সড় সাফল্য এসটিএফ’র। কারণ, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সংগঠনের কাণ্ডারী সালাউদ্দিন সালাহিনের সঙ্গে নিয়মিত যােগাযােগ রক্ষা করে চলতাে বর্ধমানের আসাদুল্লা শেখ ওরফে রাজা। বােমা তৈরি থেকে শুরু করে, সংগঠনে নতুন সদস্য সংগ্রহেরও কাজ করছিল এই যুবক। জেএমবি’র বর্ধমান মডিউলের সদ্যস ছিল সে।

Advertisement

এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ দেশের অন্যান্য অংশেও সদস্য সংগ্রত্নে কাজে জড়িত ছিল বর্ধমানের আসাদুল্লা। বিহারের একটি গােপন আস্তানায় বােমার মশলা থেকে শুরু করে প্রয়ােজনীয় সামগ্রী মজুত করার দায়িত্বও ছিল তার। তবে সম্প্রতি খাগড়াগড় কাণ্ডের রায় ঘােষণা হওয়া এবং একের পর এক জেএমবি সদস্য ধরা পড়ায় বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এদেশে ছড়িয়ে থাকা জামাতুল মুজাহিদিনের বাকি সদস্যরা।

Advertisement

সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছ থেকেও নির্দেশ এসেছে কিছুদিন আত্মগােপন করে থাকার। সেই উদ্দেশ্যেই গত ১০ মাস ধরে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগােপন করে থাকা শুরু করে বর্ধমানের যুবক আসাদুল্লা। চেন্নাইয়ের থােরিয়াপক্কা চেনালপুরমে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল সে। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার জন্য জাল নথিপত্রও ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। নাম ভাড়িয়ে চেন্নাইয়ের শ্রমিক মহল্লায়ে কাজ করছিল। তবে তার মধ্যেই নিয়মিত যােগাযােগ রক্ষা করে যাচ্ছিল জেএমবি’র আমীর ও শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে। তল্লাশি চালিয়ে চেন্নাইয়ের ভাড়াবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্ত্রাসী নথিপত্র সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী দল।

এ রাজ্যে জেএমবি’র আমীর এজাজ আহমেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যােগ ছিল আসাদুল্লার। পুরুলিয়ার বাসিন্দা এজাজকে গয়া থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এরপর একের পর এক জেএমবি’র সদস্য গােয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়তে শুরু করে। সম্প্রতি ধৃত উত্তর দিনাজপুরের আব্দুল করি ও নিজামউদ্দিন খানকে জেরা করে আসাদুল্লা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে এসটিএফ’র। চেন্নাই আদালতে মঙ্গলবার আসাদুল্লাকে পেশ করে ৩ দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছেন এসটিএফ’র গােয়েন্দারা।

Advertisement