নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থেকে রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আসার সময় শনিবার কেশপুরের পঞ্চমীর কাছে লরির সাথে অ্যাম্বুলেন্সের দুর্ঘটনা। ওই ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই জন। লরিটি মেদিনীপুরের দিক থেকে কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। অন্য দিকে ঘাটাল থেকে একটি এম্বুলেন্স করে রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসছিল। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের পঞ্চমীর কাছে বড় পোলের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স-এ থাকা যাত্রীদের বেশির ভাগ আহত এবং নিহত হয়েছেন। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি কেশপুরের দিকে যাচ্ছিল, সেই সময় কেশপুরের দিক থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সটি মেদিনীপুরের দিকে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা চন্দ্রকোনা ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগেই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে অপর্ণা বাগ নামে এক গৃহবধূ ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেশপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সকলকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আনা হলে সেখানে মারা যান আরও ২ জন। মৃতরা হলেন, অপর্ণা বাগের স্বামী শ্যামাপদ বাগ (২৫) , মা অনিমা মল্লিক (৪৬) , মামা শ্যামল ভুইঁয়া (৩৭) , মামিমা চন্দনা ভুইঁয়া (৩১) , আত্মীয় সুরজিৎ মাঝি (২৭) , আম্বুলেন্সের সহকারী জিৎ দলুই (১৫)।
Advertisement
আম্বুলেন্সের চালক অভিষেক মল্লিক চিকিৎসাধীন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর্ণা বাগকে শনিবার স্থানান্তর করা হয়েছে কলকাতার পিজি হাসপাতালে। ওই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে হাসপাতালে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা , মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। যার ফলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
Advertisement
Advertisement



