• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

কোথাও প্রাক্তন প্রেমিকাকে ‘স্ত্রী’ বলে উল্লেখ, আবার কোথাও লেখা ‘বিয়ে করতে চেয়েছিলাম’!

লেক গার্ডেন্স গুলি কান্ডে উদ্ধার সুইসাইড নোটকে ঘিরে ধন্দে কলকাতা পুলিশ নিজস্ব প্রতিনিধি– লেক গার্ডেন্স গুলি কান্ডে ইতিমধ্যেই নিহত রাকেশের সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি৷ উদ্ধার হওয়া তিন পাতার সুইসাইড নোটে মৃতু্যর জন্য প্রাক্তন প্রেমিকা নিক্কুকুমারীর জীবনে ‘নবাগত’র উপস্থিতিকেই দায়ী করেছে যুবক৷ অন্যদিকে আহত নিক্কুকে

প্রতীকী চিত্র

লেক গার্ডেন্স গুলি কান্ডে উদ্ধার সুইসাইড নোটকে ঘিরে ধন্দে কলকাতা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি– লেক গার্ডেন্স গুলি কান্ডে ইতিমধ্যেই নিহত রাকেশের সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তাতে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি৷ উদ্ধার হওয়া তিন পাতার সুইসাইড নোটে মৃতু্যর জন্য প্রাক্তন প্রেমিকা নিক্কুকুমারীর জীবনে ‘নবাগত’র উপস্থিতিকেই দায়ী করেছে যুবক৷ অন্যদিকে আহত নিক্কুকে ছাড়া ‘বাঁচব না’ বলেও লেখা রয়েছে উদ্ধার হওয়া নোটে, বলেই খবর পুলিশ সূত্রে৷ শুধু তাই নয়, বজবজ থানায় নিজেদের ‘আত্মহত্যা’র কথা আগাম জানিয়ে এসেছিল নিহত রাকেশ বলেই উল্লেখ রয়েছে উদ্ধার হওয়া নোটে৷ একই সঙ্গে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়েও আলকপাত করেছে যুবক৷ যাদিও তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারী আফিসারেরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘‘গঙ্গাধরের কাছ থেকে বন্ধুক পেয়েছিলাম৷’’ তবে এই গঙ্গাধর কোনও ব্যক্তি নাকি গঙ্গার ‘পাড়’, তা নিয়েও ক্রমশ রহস্য ঘনাচ্ছে বলেই খবর পুলিশ সূত্রে৷

Advertisement

প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্সের এক হোটেলে এসে ওঠে বজবজের ওই যুগল৷ হোটেল সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুজনের মধ্যে বচসা হয়৷ যার সূত্রপাত, তরুণীর নতুন সম্পর্ককে ঘিরেই৷ তারপর বিকেল ৪টে ৫০ নাগাদ ভেসে আসে প্রথম গুলি চলার আওয়াজ৷ প্রথমগুলি লাগে তরুণীর উরুতে৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তেতলার ঘর থেকে নিচে নেমে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সব বলার পরেই চলে আরও একটি গুলি৷ তাতেই শেষ হয়ে যায় রাকেশের প্রাণ৷ আহত তরুণীর কথায়, তাঁর মাথায় গুলি করতে চেয়েছিল যুবক৷ তা বুঝতে পেরেই পালিয়ে আসতে চান নিক্কু৷ তখনই গুলি লাগে তাঁর উরুতে৷ তার পরেই নিজেকে শেষ করে দেয় রাকেশ৷

Advertisement

তবে এই প্রথম নয়৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও ওই একই হোটেলে তাঁরা এসেছেন নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে৷ এদিন কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে আহত তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ তরুণীর অভিযোগ, মৃত রাকেশের সঙ্গে আসতে না চাইলে বারংবার পুরনো ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করত প্রাক্তন প্রেমিকাকে৷

যদিও এবার নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার জন্যই তরুণীকে ডেকে পাঠিয়েছিল যুবক৷ তবে পুলিশের অনুমান, তরুণীকে মেরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রেখেছিল সিভিল ডিফেন্সের ভলিন্টিয়ার রাকেশ৷ সেই কারণেই নিজের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র এবং সুইসাইড নোট নিয়ে এসেছিল রাকেশ৷

অন্যদিকে নিহতের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন লালবাজারের তদন্তকারী অফিসাররা৷ তাতে উঠে এসেছে যুবকের মানসিক অবসাদের কথাও৷ পুলিশ সূ্ত্রে খবর, বিগত দু’মাস ধরে রাকেশের চরিত্রে বদল এসেছিল৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সাত বছরের সম্পর্কের ভাঙন মন থেকে মেনে নিতে পারেনি নিহত ওই সিভিল ডিফেন্স ভলিন্টিয়ার৷ যার প্রতিশোধ নিতেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে লক্ষ্য করে গুলি করে রাকেশ৷

Advertisement