পাটনা, ২৩ জুন: নিট-ইউজি প্রশ্ন ফাঁস মামলায় দেশজুড়ে চলছে সিবিআই তদন্ত। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চক্রের ১৮ জন অভিযুক্তকে। আজ বিহারে অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রায় ২০০ জন গ্রামবাসী হামলা চালায় তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর। বিক্ষুব্ধ ওই গ্রামবাসীরা রীতিমতো গণপ্রহার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় এক মহিলা-সহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকিদের সনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
তদন্তে গিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগে বাংলায় একই ঘটনার মুখোমুখী হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়ে ইডি। গ্রামবাসীদের মারে গুরুতর আহত হন একাধিক ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। পরে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের পাশাপাশি একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এবার বিহারেও ঘটল সেই একই ঘটনা। এবারে আক্রান্ত হল সিবিআই। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, বিজেপির পক্ষে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের ছবিটা গোটা দেশ দেখছে। এটা সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ।
Advertisement
অন্যদিকে এই আক্রমণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘বিহার পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। এই পরিস্থিতি তাঁরা সামলে নেবেন।’ পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘কীসের সঙ্গে কীসের তুলনা করা হচ্ছে? আমি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করব না। বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর রাজনৈতিক দল দেবে। মন্ত্রী হিসেবে আমি এই বিষয়ে কিছু বলব না।’
Advertisement
তবে এত কিছুর পরেও সিবিআই তার তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করেনি। নিটের প্রশ্নফাঁসে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ২ অভিযুক্তকে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তদন্তকারীরা ২টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। পাশাপাশি রজৌলি থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রায় ১৫০-২০০ জনের অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছে বিহার পুলিশ।
Advertisement



